যশোরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৬ সাংবাদিক
যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ সাংবাদিক । এরা সকলে সম্মুখ সারির সাংবাদিক যোদ্ধা। আক্রান্তরা সকলে পেশা এবং দায়িত্ববোধ থেকে ঘরের বাইরে এসে জীবন বাজি রেখে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবাইকে সজাগ ও সচেতন করছেন। এ সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট প্রদানের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন এ সকল সাংবাদিক। তাদের ৬ জনের কেউ এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবার কেউ অসুস্থ্ হয়ে বাড়িতে আছেন। আবার কেউ কেউ পরিবার সহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদের একজন সময় টেলিভিশনের যশোরের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রেসক্লাব যশোরের আসন্ন নির্বাচনে সম্পাদক পদপ্রার্থী জুয়েল মৃধা। জুয়েল মৃধার ফুসফুসের প্রায় ৪৫ শতাংশ আক্রান্ত। শুক্রবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন যশোরের আরও পাঁচ সাংবাদিক। তারা হলেন প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম উদ দ্দৌলা, প্রেসক্লাব যশোরের দপ্তর সম্পাদক ও আসন্ন নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী, বাংলাট্রিবিউনের যশোর প্রতিনিধি তৌহিদ জামান, ডিবিসি নিউজের যশোর প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব সাকিরুল কবীর রিটন এবং দৈনিক লোকসমাজের স্টাফ রিপোর্টার বি এম আসাদ ও প্রথম আলো পত্রিকার মিথুন।
জুয়েলের স্ত্রী লাভলী বেগম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় তাকে যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরই তাকে অক্সিজেন দেয়া ছাড়াও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু, হাইফ্লো অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তায় তাকে চিকিৎসকদের পরামর্শে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তার অক্সিজেন সহ চিকিৎসা চলছে। জানা গেছে, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা কয়েকদিন হলো করোনায় আক্রান্ত। তবে, তার শরীরে কোনো জটিলতা নেই। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন অনেকটা সুস্থ।
তৌহিদ জামান জানান, কয়েকদিন জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। এ কারণে চার দিন আগে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি জানতে পারেন তার করোনা হয়েছে। প্রতিদিন জ্বর ১০২-১০৩ এ ওঠানামা করছে। মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ঠও দেখা দিচ্ছে। তখন অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে। শুক্রবার সকালে অবস্থা একটু খারাপ হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তৌহিদ জামান।
সাকিরুল কবীর রিটনও কয়েকদিন থেকে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিলে ফলাফল পজিটিভ আসে। তার স্ত্রী ও ছোট ছেলেও করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে রিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে। রিটন ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। বিএম আসাদও কয়েকদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তার শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন আসাদ।