আমি একটা খারাপ সময়ের মধ্যে ছিলাম: রোনালদো
বিগত কয়েক মাসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাদোর জীবন, একেবারে রোলারকোস্টার রাইডের মতো ছিল। কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগেই ঝড় উঠেছিল তার ক্যারিয়ারে। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাস ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে প্রত্যাবর্তনের স্মৃতি খুব একটা সুখকর হয়নি ঘরের ছেলে রোনালদোর। ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাত্কার দেন রোনালদো। রীতিমতো গালমন্দ করেছিলেন রেড ডেভিলস ও তাদের কোচ এরিক টেন হ্যাগকে। যদিও এরপর আর রোনালদোকে রেয়াত করেনি ম্যান ইউ। ক্লাব জানিয়ে দেয় যে, রোনালদোর সঙ্গে তারা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করে ফেলেছেন। বিশ্বকাপ খেলার মধ্যেই ক্লাবহীন হয়ে যান তিনি।এখানেই শেষ নয়। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল রোনালদোর পর্তুগাল। চোখের জলে মাঠ ছেড়ে ছিলেন রোনালদো অ্যান্ড কোং। বিশ্বকাপে রোনালদোকে রিজার্ভে রেখে ম্যাচের পর ম্যাচ দল সাজানোয় কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের নিন্দায় মুখর হয়েছিল ফুটবলবিশ্ব। তবে ম্যান ইউ এবং কাতার এখন অতীত। রোনালদো সৌদির ক্লাব আল নাসেরে শুরু করেছেন নতুন জীবন। পাশাপাশি ফের তিনি জাতীয় দলে। রবার্তো মার্টিনেজের কোচিংয়ে এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে পর্তুগালের। পর্তুগালের হোম ম্যাচ। লিবসনের হোসে আলভালাদ স্টেডিয়ামে উয়েফা ইউরো কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড ওয়ান ম্যাচে লিকটেনস্টাইনের মুখোমুখি হওয়ার আগে রোনালদো সংবাদ সম্মেলনে ম্যান ইউ অধ্যায় নিয়ে কথা বলেন। রোনালদো বলেন, ‘জীবনে এমন কিছু সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, যখন বোঝা যায় যে, কে আপনার সঙ্গে আছে, আর কে নেই। সময় বলে দেয় কে আপন আর কে পর। কঠিন পরিস্থিতিই সেটা বুঝিয়ে দেয়। এটা বলতে কোনো সমস্যা নেই যে, আমি ক্যারিয়ারের একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার আক্ষেপের জন্য কোনও সময় নেই। জীবন এগিয়ে যায়, ভালো করি বা না করি, সবই আমার উন্নতির অঙ্গ। আমরা যখন পাহাড়ের চূড়ায় থাকি, তখন অনেক সময়ই নিচের জিনিস দেখতে পাই না। কিন্তু এখন আমি অনেক প্রস্তুত। শেখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক মাস যা গিয়েছে, তাতে করে বলতে পারি কখনো এরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে যাইনি। এখন আমি অনেক ভালো মানুষ।’