নিখোঁজ গাড়িচালকের লাশসহ রূপপুর প্রকল্পের এমডির গাড়ি উদ্ধার

Share Now..


নিখোঁজের দুদিন পর গাড়িচালকের লাশসহ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের (এমডি) গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে লাশসহ গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত সম্রাট খান (২৫) ঈশ্বরদী পৌর শহরের মধ্য অরণকোলা (আলহাজ্ব ক্যাম্প) এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে।

এ ঘটনায় সীমা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই কন্যা সন্তানের জননী সীমা বর্তমানে অন্তঃসত্তা।

পুলিশ ও পরিবার জানায়, নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের গাড়ির চালক ছিলেন সম্রাট খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাডো গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবার ও অফিসের লোকজন শুক্রবার সকাল থেকে সম্রাটকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে থানায় অভিযোগ করে তারা। সন্ধ্যার দিকে জানা যায় সম্রাট খান নিকিমথ কোম্পানির আরেক গাড়ি চালক উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিল। রাত ৯টার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায় এবং আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সীমা খাতুন স্বীকার করে যে সম্রাটকে তিনি হত্যা করেছেন। আর লাশ বস্তায় ভরে প্রাডো গাড়িতে তুলে স্বামী মমিন নিয়ে গেছে। এরপর রাতভর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান চালিয়েও সম্রাটের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল ৯টার দিকে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে গ্রাডো গাড়ির মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে চালক সম্রাটের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওসি জানান, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *