আবাহনীর চোখ এখন ফেডারেশন কাপেদেশের
আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলের কথা হচ্ছে ওরা (বসুন্ধরা কিংস) যদি পয়েন্ট নষ্ট না করে তাহলে আর কিছু করার নেই। অন্য দিকে দলের আরেক ফুটবলার রহমত মিয়ার চোখেও আবাহনীকে নিয়ে একই ছবি। শিরোপার কথা উঠতে ওদের কণ্ঠ ভারি হয়ে ওঠে। কথা বলার ভাষা নেই। বুঝতে বাকি থাকে না শিরোপার স্বপ্ন দেখছেন না। ১৩ খেলায় আবাহনীর হার দুটো। মুক্তিযোদ্ধা এবং বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। ড্র হয়েছে তিনটা, শেখ রাসেল, পুলিশ এবং ফর্টিসের বিপক্ষে।
গতকাল বিকাল বেলা ক্লাব টেন্টে গিয়ে দেখা গেল দুয়েকজন ছাড়া কেউ নেই। টেন্ট নীরব। রহমত মিয়া এবং সোহেল ছিলেন তারাও বেরিয়ে যাচ্ছেন। গেটের দারোয়ান তালা খুলে দিলেন। পড়ন্ত বিকালে আকাশে তখন মেঘ জমে গেছে। বৃষ্টি ঝরবে ঝরবে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে এক পশলা কথা বললেন রহমত মিয়া এবং সোহেল রানা। তাদের কণ্ঠে একটা কথা পরিষ্কার, এই মৌসুমে গোল মিসের খেসারত দিল আবাহনী।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) গোপালগঞ্জে আবাহনী ০-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরেছে। ৯০ মিনিট শেষ অতিরিক্ত সময়ে ৭ মিনিটে গোল পায় মুক্তিযোদ্ধা। একটা লংবল ফেললে আবাহনীর ডিফেন্ডার সেটা ক্লিয়ার করতে না পারলে সেটা গোলে পরিণত হয়। অথচ এর আগে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে আবাহনী। চার বিদেশি নিয়ে খেলেও গোলের পর গোল মিস করে হারের মালা নিয়ে ফিরেছে।
সোহেল রহমতদের চোখে ফরোয়ার্ডরা এবার গোল মিস করেছে। বিদেশি তালিকায় আবাহনী ভালো সংগ্রহ কোস্টারিকার কলিন্দ্রেস। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা সেই কলিন্দ্রেসও মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে তিনটা সুযোগ নষ্ট করেছে। মুক্তিযোদ্ধা ৫ ডিফেন্স নিয়ে নেমেছিল যেন কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পায়। সেটাই কাজে লাগিয়েছে।
লিগের প্রথম পর্বে ফর্টিসের সঙ্গে ১-০ গোলে থাকা অবস্থান পেনাল্টি পেয়েও দ্বিতীয় গোল করতে পারেনি আবাহনী। সেই ম্যাচ ড্র হয়। পুলিশের বিপক্ষে ম্যাচেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ফরোয়ার্ড লাইনের খেলোয়াড়রা। সেই ম্যাচ ড্র হয়।
আবাহনী প্রথম পর্বে যা ক্ষতি হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে টার্গেট ছিল সব ম্যাচ জিততে হবে। সেটি হলো না। আবার সেই ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আবাহনীর পক্ষে আর ফেরা হলো না। গোলকিপার সোহেল কিংবা রহমতের কথায় সেটাই পরিষ্কার।
রহমত বললেন, ‘স্কোরিং সমস্যাটাই আমাদের ক্ষতি হয়েছে।’ সোহেল বললেন, ‘আমাদের স্কোরিং লাইনে যারা রয়েছেন তারা সবাই ভালো। কিন্তু গোলের সময় যদি সঠিক কানেক্ট না হয় তাহলে লাভ নেই। গোল করতে হবে।’
রহমত বললেন, ‘স্কোরাররা যদি বারবার মিস করেন। তাহলে দেখা যায় উলটো নিজেদের ঘাড়ে বিপদ চলে আসে। গোল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার কথাই ধরুন, এত সুযোগের মধ্যে একটা গোল যদি হয়ে যেত তাহলে তো ম্যাচ হারতে হয় না। এমন সুযোগ অনেক ম্যাচে গেছে। আমরা সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট করেছি।’
দুজনেই লিগের কথা বাদ দিলেন, আলোচনা করে আর লাভ নেই। সামনের যে কয়টি খেলা আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। ফেডারেশন কাপের ট্রফি কীভাবে জয় করা যায় সেটা নিয়ে ভাবনা আবাহনীর।
আবাহনীর চোখ এখন ফেডারেশন কাপে
দেশের প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ১৪ আসরের মধ্যে আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয় বার। ১৪ বারের লিগে এবারই প্রথম আবাহনীর অবস্থা খুব খারাপ। ছয় সাত ম্যাচ আগেই আবাহনীর শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ। বসুন্ধরা কিংস ১০ পয়েন্ট এগিয়ে। এই দশ পয়েন্ট ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে না আবাহনী। তাদের চোখে লিগ শিরোপা এখন দূর আকাশের তারা।
আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলের কথা হচ্ছে ওরা (বসুন্ধরা কিংস) যদি পয়েন্ট নষ্ট না করে তাহলে আর কিছু করার নেই। অন্য দিকে দলের আরেক ফুটবলার রহমত মিয়ার চোখেও আবাহনীকে নিয়ে একই ছবি। শিরোপার কথা উঠতে ওদের কণ্ঠ ভারি হয়ে ওঠে। কথা বলার ভাষা নেই। বুঝতে বাকি থাকে না শিরোপার স্বপ্ন দেখছেন না। ১৩ খেলায় আবাহনীর হার দুটো। মুক্তিযোদ্ধা এবং বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। ড্র হয়েছে তিনটা, শেখ রাসেল, পুলিশ এবং ফর্টিসের বিপক্ষে।
গতকাল বিকাল বেলা ক্লাব টেন্টে গিয়ে দেখা গেল দুয়েকজন ছাড়া কেউ নেই। টেন্ট নীরব। রহমত মিয়া এবং সোহেল ছিলেন তারাও বেরিয়ে যাচ্ছেন। গেটের দারোয়ান তালা খুলে দিলেন। পড়ন্ত বিকালে আকাশে তখন মেঘ জমে গেছে। বৃষ্টি ঝরবে ঝরবে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে এক পশলা কথা বললেন রহমত মিয়া এবং সোহেল রানা। তাদের কণ্ঠে একটা কথা পরিষ্কার, এই মৌসুমে গোল মিসের খেসারত দিল আবাহনী।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) গোপালগঞ্জে আবাহনী ০-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরেছে। ৯০ মিনিট শেষ অতিরিক্ত সময়ে ৭ মিনিটে গোল পায় মুক্তিযোদ্ধা। একটা লংবল ফেললে আবাহনীর ডিফেন্ডার সেটা ক্লিয়ার করতে না পারলে সেটা গোলে পরিণত হয়। অথচ এর আগে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে আবাহনী। চার বিদেশি নিয়ে খেলেও গোলের পর গোল মিস করে হারের মালা নিয়ে ফিরেছে।
সোহেল রহমতদের চোখে ফরোয়ার্ডরা এবার গোল মিস করেছে। বিদেশি তালিকায় আবাহনী ভালো সংগ্রহ কোস্টারিকার কলিন্দ্রেস। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা সেই কলিন্দ্রেসও মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে তিনটা সুযোগ নষ্ট করেছে। মুক্তিযোদ্ধা ৫ ডিফেন্স নিয়ে নেমেছিল যেন কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পায়। সেটাই কাজে লাগিয়েছে।
লিগের প্রথম পর্বে ফর্টিসের সঙ্গে ১-০ গোলে থাকা অবস্থান পেনাল্টি পেয়েও দ্বিতীয় গোল করতে পারেনি আবাহনী। সেই ম্যাচ ড্র হয়। পুলিশের বিপক্ষে ম্যাচেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ফরোয়ার্ড লাইনের খেলোয়াড়রা। সেই ম্যাচ ড্র হয়।
আবাহনী প্রথম পর্বে যা ক্ষতি হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে টার্গেট ছিল সব ম্যাচ জিততে হবে। সেটি হলো না। আবার সেই ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আবাহনীর পক্ষে আর ফেরা হলো না। গোলকিপার সোহেল কিংবা রহমতের কথায় সেটাই পরিষ্কার।
রহমত বললেন, ‘স্কোরিং সমস্যাটাই আমাদের ক্ষতি হয়েছে।’ সোহেল বললেন, ‘আমাদের স্কোরিং লাইনে যারা রয়েছেন তারা সবাই ভালো। কিন্তু গোলের সময় যদি সঠিক কানেক্ট না হয় তাহলে লাভ নেই। গোল করতে হবে।’
রহমত বললেন, ‘স্কোরাররা যদি বারবার মিস করেন। তাহলে দেখা যায় উলটো নিজেদের ঘাড়ে বিপদ চলে আসে। গোল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার কথাই ধরুন, এত সুযোগের মধ্যে একটা গোল যদি হয়ে যেত তাহলে তো ম্যাচ হারতে হয় না। এমন সুযোগ অনেক ম্যাচে গেছে। আমরা সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট করেছি।’
দুজনেই লিগের কথা বাদ দিলেন, আলোচনা করে আর লাভ নেই। সামনের যে কয়টি খেলা আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। ফেডারেশন কাপের ট্রফি কীভাবে জয় করা যায় সেটা নিয়ে ভাবনা আবাহনীর।
Take your gaming to the next level—start playing today! Lucky Cola
The ultimate gaming adventure awaits—are you in? Lucky Cola