নিয়ন্ত্রণের বাইরে আলু-পেঁয়াজ, লাফিয়ে বাড়ছে দাম
ভোগান্তির অন্ত নেই বাজারের অস্বস্তিতে। নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। আলু-পেঁয়াজের বাজার দীর্ঘদিন ধরে চড়া, যা এখন লাগামছাড়া।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোক্তাপর্যায়ে সম্প্রতি ডিম, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও চিনির দাম সহনীয় রাখতে দাম বেঁধে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও ৬৫ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউ মানছে না। উল্টো দিনকে দিন দাম বাড়িয়ে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে মনিটরিং নিয়ন্ত্রণের বাইরে, অবস্থা যেন হ-য-ব-র-ল।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খুচরা পর্যায়ে দাম যাচাই করে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। যদিও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির কথা জানিয়েছে সরকার।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশনা থাকলে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
শুধু আলু-পেঁয়াজই নয়, দাম বেড়েছে চিনিরও। পরিশোধিত খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৫ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা কেজি হলেও ২৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ টাকায়।