একে অপরের সঙ্গে আছি, পরিবার হয়েই থাকবো: আমির খান
১৫ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন আমির খান ও কিরণ রাও দম্পতি। শনিবার (৩ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর এক ভার্চুয়ালি এক সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে আমির খান তাদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই হয়তো কষ্ট পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার চমকেও গিয়েছেন। কিন্তু এইটুকু বলতে চাই, আমরা এখনো একটি পরিবার এবং আমরা সুখে আছি। তবে হ্যাঁ, আমাদের সম্পর্কে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া আমরা একে অপরের সঙ্গেই রয়েছি। আমরা একটি পরিবার হয়েই থাকবো। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
দিকে আমির-কিরণের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ভেতরের খবর নিয়েও ভাবছেন ভক্তরা। তাদের বিচ্ছেদের নেপথ্যে কে, সেটা বের করার চেষ্টা করছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, ফাতিমা সানার কারণেই ১৫ বছরের সংসার জীবনে ইতি টানছেন আমির।
২০১৬ সালে মুক্তি পায় আমিরের ‘দঙ্গল’ ছবি। এই ছবিতে ফাতিমা সানা শেখকে সুযোগ দেন আমির। শোনা যায়, ফাতিমার অডিশন দেখে আমিরই সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই আমির-ফাতিমাকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু। বলিউডের নানা পার্টিতে আমিরের সঙ্গে দেখা যায় ফাতিমাকে। আমিরের হাতে হাত দিয়ে মুম্বাইয়ের বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে ফাতিমাকে। তবে আমির খান এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।
এদিকে বিচ্ছেদ হলেও আমির-কিরণ জানালেন, শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, পেশাদার জীবনেও তাদের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে। তাদের ফাউন্ডেশনসহ সব প্রজেক্টে একসঙ্গেই কাজ করবেন।
আমির খান অভিনীত ‘লাগান’ ছবিতে অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর ছিলেন কিরণ রাও। সেখানেই প্রথম পরিচয় হয় তাদের। এরপর কিছু সময় একসঙ্গে কাটানোর পর ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর ২০১১ সালে সারোগেরি (গর্ভভাড়া) পদ্ধতির মাধ্যমে আজাদ রাওয়ের বাবা-মা হন তারা।
কিরণ রাওয়ের আগে ১৯৮৬ সালে রীনা দত্তের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আমির খান। কিন্তু ২০০২ সালে ১৬ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন তারা