শুক্রবারের আগে বন্দিদের মুক্তি নয়: ইসরায়েল

Share Now..

এখনো যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে ইসরায়েলের। আশা করা হচ্ছে শুক্রবারের (২৪ নভেম্বর) মধ্যে এই আলোচনা সম্পূর্ণ হবে এবং বেশ কিছু পণবন্দি মুক্তি পাবে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাছি হানেগবির বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে হানেগবি জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে লাগাতার আলোচনা চলছে। এখনো সম্পূর্ণ সমাধান সূত্র মেলেনি। তবে শুক্রবার কিছু পণবন্দির মুক্তি হতে পারে।

আলোচনাটি হচ্ছে মূলত যুদ্ধবিরতি নিয়ে। কারণ যুদ্ধবিরতি ছাড়া পণবন্দিদের মুক্তি সম্ভব নয়। তবে যুদ্ধবিরতি হতে এত সময় কেন লাগছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকেও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

এখন পর্যন্ত জানা গেছে, হামাসের সঙ্গে চারদিনের একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি করা হবে। ওই সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু পণবন্দিকে মুক্ত করা হবে। তবে কতজন পণবন্দিকে এখন ছাড়বে হামাস, কী তাদের শর্ত এসব কোনো কিছুই এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি।

ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই চুক্তি হচ্ছে কাতারের মধ্যস্থতায়। চার দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। হামাসকে বলা হয়েছে অন্তত ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, বদলে ইসরায়েল ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে। তারা সকলেই ইসরায়েলের জেলে বন্দি। এমনকি ওই সময় গাজা স্ট্রিপে গৃহহীন মানুষদের কাছে মানবিক সাহায্যও পাঠানো হবে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পাশাপাশি কাতার এবং মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বার্তালাপে মূলত হামাস এবং ইসরায়েলের চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নেতানিয়াহুকে বাইডেন বলেছেন, ওয়েস্ট ব্যাংক এবং লেবাননে আপাতত শান্তি বজায় রাখতে। দ্রুত যাতে সমস্ত বন্দিকে মুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও আমেরিকা চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। গতকাল এমনটি দাবি করে হোয়াইট হাউস।

মিশরের প্রেসিডেন্টকে বাইডেন জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা স্ট্রিপ থেকে বিতাড়িত মানুষেরা যাতে তাদের নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে আমেরিকা। পাশাপাশি গাজা স্ট্রিপের মানচিত্রে যাতে কোনো পরিবর্তন না হয়, সে দিকেও নজর রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *