‘মানুষ দিনশেষে প্রকৃত শিল্পীদের কাজই দেখেন’

Share Now..

গোলাম সোহরাব দোদুল। এদেশের প্রখ্যাত নির্মাতা। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। নাটক, সিনেমা যা-ই করেছেন তাতে নির্মাতার আলাদা সিগনেচার বহন করেছে। ওটিটি প্লাটফর্মে ভিন্ন ভাবনার একটি কাজ শুরু করলেন। ইন্ডাস্ট্রির নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন ইত্তেফাকের সাথে।

আপনার নির্মিত ‘মোবারকনামা’ মুক্তি পাচ্ছে। কোন প্রেক্ষাপটে সিরিজটি নির্মিত হয়েছে?

সিরিজটি মোবারক নামের একজন উকিলের জীবন ঘিরে নির্মিত হয়েছে। পুরান ঢাকার এই উকিল ক্রিমিনাল ল’ নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু একটি মামলা জেতার পর তার মনে হয় এটা জয় না, এই জয়ের মাঝেই পরাজয় রয়েছে। এর মাঝেই নতুন একটি ঘটনা ঘটবে। যেটা জানতে সিরিজটি দেখতে হবে।

এর আগে মহানগর সিরিজের ওসি হারুন এবার উকিল! চরিত্রটি দর্শকরা গ্রহণ করবে মনে করছেন?

দেখুন, মহানগরে থ্রিলারের পাশাপাশি একজন ওসির ভূমিকা দর্শকরা দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু এই সিরিজটি সম্পূর্ণ ড্রামা ঘরানার। তাছাড়া গল্পটি মোশাররফ করিমকে ঘিরে হলেও তার পরিবারসহ নানা বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাবে। যেটা ওসি হারুন চরিত্রে দেখা যায়নি। সেই জায়গা থেকে দর্শকরা সিরিজটি গ্রহণ করবেন বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে। 

সিরিজটিতে মোশাররফ করিম মূল ভূমিকায় থাকলেও অনেক জনপ্রিয় তারকা উপস্থিত হবেন। তাদের ভূমিকা কী থাকছে?

হ্যাঁ, এতে শবনম ফারিয়া, শাহনাজ সুমি, জেনিসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় তারকা অভিনয় করেছেন। প্রতিটি চরিত্রই মোবারককে ঘিরে আবর্তিত হবে। তবে সব চরিত্রই গুরুত্ব বহন করবে।

সাপ লুডুর পর সিনেমার খবর নেই। নতুন সিনেমা কবে আসছে?

করোনাসহ নানা কারণেই নতুন সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়নি। তবে এখন সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, সামনের বছর দারুণ খবর সবাইকে দিতে পারবো।

জায়েদ খানসহ অনেকেই ভাইরাল হতে হাস্যকর কাজ করছেন। এতে আসলে চলচ্চিত্র কোন পর্যায়ে যাচ্ছে মনে করছেন?

রান্না-বান্নার কিন্তু আর্টের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আপনার প্রিয় খাবারে যদি অতিরিক্ত জাফরান ব্যবহার করেন তাহলে সেটা আর খাওয়া যাবে না। তেমনি এই সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য যারা এ ধরনের টেকনিক ফলো করেন তারা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো আসেন এবং চলে যান। মানুষও তাদের সেভাবেই গ্রহণ করেন এবং দিনশেষে প্রকৃত শিল্পীদের কাজই দেখেন।

কিন্তু আপনাদের মতো সৃজনশীল নির্মাতারাও তো তাদের দিয়ে প্রমোশন করাচ্ছেন!

হ্যাঁ, হয়তো অনেকেই প্রমোশন করাচ্ছেন। কিন্তু আমি আজও (গতকাল) ফারুকী ভাইয়ের কাজটি নিয়ে রিভিউ পোস্ট করেছি। সেখানে লিখেছি, ডিগবাজি না, আপনি সহজেই সাবস্ক্রাইব করে কন্টেন্টটি দেখতে পারবেন।

পেশাদারিত্বের জায়গায় নির্মাতাদের অবস্থান কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

এটা আসলে খুবই মিশ্র জায়গায় রয়েছে। এখানে তো এখন সবাই নির্মাতা! কিন্তু নির্মাণে খেলার জায়গাটাই আসল। সামর্থ্য থাকলে নির্মাণ যে কেউ করতেই পারেন। তবে আমি মনে করি, নির্মাণ করতে হলে লেখাপড়া-যোগাযোগটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নির্মাণকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায় কি-না?

হ্যাঁ, অবশ্যই পেশা হিসেবে নির্মাণকে যে কেউ নিতেই পারেন। তবে টিকে থাকতে চাইলে অবশ্যই কাজ জানতে হবে।

তারকা এবং প্রযোজকরাই বরাবর লাভবান হয়। কিন্তু আপনারা ঠকে যান—

এটা সারা পৃথিবীতেই চলছে। এখানে তারকাদের প্রাধান্য দেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই। এই পুরো প্রক্রিয়াটি বিপণনের সঙ্গে জড়িত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *