ডিভাইস জালিয়াতি: ৫ জন মূলহোতাসহ আটক ৩০ পরীক্ষার্থী
মাস্টারকার্ডে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ঢুকিয়ে জালিয়াতির সময় ৩০ পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় আরও ৫ মূল হোতাকেও আটক করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা সদরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত মাস্টারকার্ড, ১৯টি ব্লু-টুথ ডিভাইস ও ১৬টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন অভিনব উপায়ে তৈরি মাস্টারকার্ডের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত করে জালিয়াতির সময় চক্রের ৫ হোতা ও ৩০ পরীক্ষার্থীসহ মোট ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা (এমসিকিউ) চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে পরীক্ষার হলে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এসব জেলা হলো- রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এসব জেলায় মোট কেন্দ্র ৫৩৫টি আর পরীক্ষার কক্ষ ছিল আট হাজার ১৮৬টি।
প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ চাকরিপ্রার্থী। এই ধাপে বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগের ৭২ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ৩ বিভাগের সরকারি প্রাথমিকে শূন্য পদ রয়েছে দুই হাজার ৭৭২টি। সেই হিসাবে প্রতি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৩০ জন। তবে কোটা সুবিধার কারণে নারী প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।