৪৩তম বিসিএস
ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে আলাদা ফল প্রকাশের দাবি
চলতি মাসেই ফল প্রকাশ হতে পারে ৪৩তম বিসিএসের। এবারই প্রথম ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে একসঙ্গে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও শূন্যপদ না থাকায় নন-ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকতে হয় অনেক প্রার্থীকে। ফলে হতাশায় ভোগেন অপেক্ষায় থাকা এসব প্রার্থীরা। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এবার ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
তবে সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মানববন্ধন করেছেন ফলপ্রত্যাশীরা। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেইসঙ্গে কর্মসূচি থেকে চার দফা দাবিও জানানো হয়। দাবিগুলো হলো ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল আলাদা সময়ে প্রকাশ, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসের মতো নন-ক্যাডার থেকে বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ, আগের বিসিএস থেকে এরই মধ্যে সুপারিশ করাদের সম-গ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করা এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগে প্যানেলের ব্যবস্থা করা৷
মানববন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলেন, আমরা চাই, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের ফলাফল যেন আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়। যেন নন-ক্যাডারে অধিক সংখ্যক পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়। এছাড়া আগের বিসিএস থেকে যাদের সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের সম-গ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করারও দাবি জানিয়েছি আমরা। এর আগে একই দাবিতে পিএসসির চেয়ারম্যান, সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ৪৩তম বিসিএসের ফলপ্রত্যাশীদের একাংশ।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।