বিটিভি বাঙালি জীবনের সাংস্কৃতিক অভ্যেসের নাম: ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম
৫৯ বছর পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ৬০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিটিভি আমাদের বাঙালি জীবনের সাংস্কৃতিক অভ্যেসের নাম। তাই বিটিভির বর্ষপূর্তিতেও সেভাবেই অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দর্শকদের রুচিশীল ও মননশীল করে গড়ে তুলতেই বিটিভি সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিকতার পাশাপাশি দর্শকদের বিনোদনের ক্ষেত্রে দেশীয় সংস্কৃতির রসবোধ ছড়িয়ে দিতেই কাজ করে যাচ্ছে বিটিভি।’
বিটিভি পরিবারের সদস্যরা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
এছাড়াও বিটিভি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কলাকুশলী ও শুভার্থীদের মিলনমেলা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইবেন শিল্পী ফরিদা পারভীন, রফিকুল আলম, নকিব খান, নিশিতা বড়ুয়া, অনুপমা মুক্তি, রাজীব, সালমা ও ব্যান্ড ‘চিরকুট’। আরো থাকছে ওয়ার্দা রিহাব ও ইভান শাহরিয়ার সোহাগের পরিচালনায় নৃত্য। এছাড়াও দিনব্যাপী বিটিভির পর্দায় থাকবে নানান পরিবেশনা।
সকাল ৮টার সংবাদের পর সরাসরি গানের অনুষ্ঠান ‘আজকের সকাল’র বিশেষ পর্বে গাইবেন শিল্পী অণিমা রায় ও আয়েশা জেবিন দীপা। দুপুর ১২টার সংবাদের পর চিত্রশিল্পীদের চিত্রাঙ্কন ও সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেরামত মাওলা, রফিকুন্নবী, আব্দুল মান্নান। বিকেল ৩টায় থাকছে সরাসরি বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বিটিভি নাটকের একাল সেকাল’। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থাপনায় আড্ডায় থাকবেন ম.হামিদ, ডলি জহুর, আব্দুল মান্নান, রওনক হাসান, স্বাগতা ও বৃন্দাবন দাস। এছাড়াও দিনব্যাপী স্বনামধন্য সংগীত শিল্পীদের গানের সংকলন, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের সংকলন, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ডিআইটি থেকে রামপুরা, স্মৃতিচারণ ও শুভেচ্ছা বাণী প্রচারিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার তত্কালীন ডিআইটি ভবনের নিচতলায় টেলিভিশন চ্যানেলটির যাত্রা শুরু। এরপর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে বিটিভিকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে আনা হয়।
১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেওয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করে বিটিভি। বিটিভির সম্প্রচার এখন এইচডি (হাই ডিফিনেশন) এবং টেরিস্ট্রিয়াল, স্যাটেলাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে আরো বিস্তৃতভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে।