চুয়াডাঙ্গায় ঢেঁকি প্রতীকের কর্মীকে মারধর \ গ্রেফতার-১
\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা-জীবননগর ও সদরের একা) আসনের স্বতস্ত্র প্রার্থী মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লল্টুর (ঢেঁকি) কর্মী নাল্টুকে (৪৩) মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মোঃ রাজু (৩২) নামে নৌকার ১ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
ঢেঁকি প্রতীকের কর্মী নান্টু খাঁ উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি বাজারপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে বাদি হয়ে ১০/১২ জন নৌকা প্রতীকের সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই ঘটনায় রাতেই নৌকা প্রতীকের সমর্থক একই এলাকার মৃত রেজাউলের ছেলে মোঃ রাজু (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢেঁকি প্রতীকের সমর্থক নাল্টু বলেন, ১০/১২ জন নৌকা প্রতীকের সমর্থক রিপনের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং গালাগালিসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। আমাকে মেরে আহত করেছে। পরবর্তীতে আমি থানায় হাজির হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করি। আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটের প্রচার-প্রচারণা করায় এবং অন্যান্য কর্মীর মধ্যে আতংক সৃষ্টি করতে আসামিরা হামলা চালিয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টু বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়তেই আমার সমর্থককে মারধর ভয়ভীতি প্রদর্শন এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে নৌকার নেতা কর্মীরা। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এর সমচিত জবাব আমরা ভোটের মাঠেই দেব।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম জাবীদ হাসান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।