মিয়ানমারের সাগাইংয়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ‘টাইগার ওগ্রেস’
মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্ব সাগাইং অঞ্চলে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ‘টাইগার ওগ্রেস’ নামে দেশটির সামরিক জান্তার একটি অংশ। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ইরাওয়ার্দি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব সাগাইং অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ‘টাইগার ওগ্রেস’ এর সদস্যরা। এ কারণেই তিনটি টাউনশিপের গ্রামের বাসিন্দাদের পালিয়ে যেতে বলেছে স্থানীয় কর্মকর্তারা।
ইয়ে-ইউ শহরে জান্তা সেনা এবং জান্তা-পন্থী পিউ সো হেটি মিলিশিয়ার সদস্য রয়েছে। গত শুক্রবার, তারা খিন-উ টাউনশিপের তিনটি পৃথক গ্রামে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং আরও তিনজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
খিন-ইউ টাউনশিপের স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সোমবার যখন ‘টাইগার ওগ্রেস’ নিকটবর্তী ইয়ে-ইউ টাউনশিপের গ্রামে অভিযান শুরু করে, তখন হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
গত শুক্রবার ‘টাইগার ওগ্রেস’ মাইন কেয়া গ্রামের দুই বয়স্ক বাসিন্দা এবং কার সেট গ্রামের ৪৪ বছর বয়সী বাসিন্দাকে হত্যা করে। কিয়ুন তাও গি গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা নারী হত্যা করা হয়। গ্রামের একজন বয়স্ক বাসিন্দাকেও পায়ে গুলি করে। এছাড়াও ওই গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে ১০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইরাওয়ার্দি জানায়, খিন-উ টাউনশিপের প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা অভিযানের পর তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। টাইগার ওগ্রেস সোমবার ভারী কামান দিয়ে গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণের মাধ্যমে ইয়ে-ইউ টাউনশিপকে লক্ষ্য করে। ইয়ে-ইউ টাউনশিপের পিপলস ডিফেন্স কমরেডস গ্রুপের মতে, টাউনশিপের নয়টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার তারা অং থা গ্রাম লুট করে।
পিপলস ডিফেন্স কমরেডদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘টাইগার ওগ্রেস’রা গত সপ্তাহে খিন-ইউ টাউনশিপে চারজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, তাই আমি গ্রামবাসীদের তাই আমি গ্রামবাসীদের জানিয়েছি যে, তারা যেনো পালিয়ে যায়।