একাডেমির কোচ হওয়াটা চ্যালেঞ্জ মনে করছেন পিটার
লন্ডন থেকে সরাসরি ঢাকা। ক্লান্তি ভর করেছিল বাফুফে একাডেমির জন্য নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ইংলিশ হেড কোচ পিটার জেমস বাটলারের। বিমানবন্দর থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসে উঠে ভালোই বোধ করছিলেন পিটার। কিন্তু ফার্মগেটে নেমে পল্টন পৌঁছাতে প্রায় ঘণ্টা। আর তাতে ক্লান্তি আরও বেড়ে গিয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে হোটেল লবিতে উঠেই জোরে একটা শ্বাস ছাড়লেন পিটার। বললেন, ‘ওউফ, টায়ার্ড (আমি ক্লান্ত)।’
এ ধরনের ট্র্যাফিক জ্যাম তিনি আগেও দেখেছেন, ইন্দোনেশিয়ায়। সেটার সঙ্গে মিল দেখছেন। তার কাছে বাংলাদেশের সঙ্গে লাইবেরিয়ান ফুটবলেরও নাকি মিল আছে। লাইবেরিয়ান ফুটবল এখন ফিফার র্যাংকিংয়ে ১৫৩। আর বাংলাদেশের র্যাংকিং ১৮৩। তাতেও পিটারের চোখে দুই দেশের ফুটবলে মিল আছে। শুধু তাই নয়, এশিয়ার ফুটবলেও একই ধাঁচের মনে করছেন পিটার। লাইবেরিয়া জাতীয় দল ছেড়ে বাফুফের এলিট একাডেমির দায়িত্বটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন এই ব্রিটিশ কোচ।
ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার বাফুফের একাডেমির হেড কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ৫৭ বছর বয়সী লাইবেরিয়ান জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০২৩ পর্যন্ত। টানা তিন বছর জাতীয় দলে কাজ করতে গিয়ে বাড়ি যাওয়া হয়নি খুব একটা। কাজেই ছিলেন। তার কোচিং ক্যারিয়ার কিংবা ফুটবলে প্লেইং ক্যারিয়ার, দুটোই দীর্ঘ। লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আক্রমণভাগে খেলেছেন। সাড়ে ৪০০ ম্যাচ খেলেছেন। কোচিং ক্যারিয়ারের একাডেমির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০০ সাল থেকে ১৭টা ক্লাব দলের কোচ হয়ে কাজ করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা বেশ শক্ত। তবে এত অভিজ্ঞতা নিয়ে লাইবেরিয়ান জাতীয় দলের কোচ থেকে একাডেমির কোচ, কেন? হোটেল লবিতে দাঁড়িয়ে কথা বললেন পিটার, ‘আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ। আমি ভালো কিছু করতে চাই বলেই এসেছি।’
পিটার বলেন, ‘আমি আমার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি ফুটবলের মাঝে বিলিয়ে দিতে। যারা আগামী দিনের ফুটবলে ফুল ফোটাতে চায় তাদের নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। গড়ে তুলতে চাই। কাজটা সহজ হবে না, এটা একটা চ্যালেঞ্জ। আফ্রিকা আর এশিয়ার ফুটবলে বেশ মিল রয়েছে। যে কারণে আমি এখানকার ছেলেদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি। তবে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখন কাজ করাটাই বড় বিষয়।’
বাংলাদেশ ফুটবল সম্পর্কে আগেই খোঁজখবর নিয়েছেন পিটার জেমস বাটলার। বললেন, ‘আমি ইউকেতে থাকাকালীনই শুনেছি। আর আমি যেখানে কাজ করব সেই একাডেমি সম্পর্কে জেনেছি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ফুটবলকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এলিট একাডেমি যার বড় উদাহরণ। আমি মনে করি আমার ক্যারিয়ার ছেলেদের উত্সাহ জোগাবে।’ দীর্ঘ বিশ্রাম নিতে চান না পিটার। দ্রুতই শুরু করতে চান একাডেমির ছেলেদের নিয়ে মাঠের কাজ। লিফটে ওঠার আগে বলে গেলেন আজই মাঠে নামতে চান তিনি।