‘মেয়েদের এখন দেশের বাইরে খেলাটা জরুরি’

Share Now..

সাবিনা খাতুন সানাজিদা আক্তারের মতো অন্যরাও যদি আরো বেশি সংখ্যা খেলোয়াড় বিদেশে খেলার সুযোগ পান তাহলে নারী ফুটবলের জমিন আরো মজবুত হবে। সানজিদা এবং সাবিনা এখন ভারতের উইমেন্স লিগে (আইডব্লিউএল) খেলছে। সাবিনা কিকস্টার্ট এফসি এবং সানজিদা ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলছে। দুই জনেই দেশের ফুটবলকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

নারী ফুটবল দলের কোচ এখন সাইফুল বারী টিটু। তার অধীনে এরই মধ্যে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে খেলেছেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। কোচের চোখে সানজিদা এবং সাবিনা দুজনেই ভালো ফুটবলার। ‘সাবিনা তো পুরো দলটাকে খেলায়, সানজিদা সিংগাপুরের দ্বিতীয় ম্যাচটায় দুর্দান্ত খেলেছে। কিছু বল নিয়ে ইন্ডিভিজিউয়াল স্কিল দেখিয়েছে—বললেন টিটু।

টিটুর মতে সাবিনা-সানজিদারা নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আরো বেশি সংখ্যাক ফুটবলার বিভিন্ন দেশে খেলার সুযোগ পেতে পারে। সেই দুয়ারটা খুলতে শুরু করলেও এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার মনে করছেন তিনি। টিটু বলেন, ‘সৌদি আরবেও লিগ হবে। সেখানে যদি বিদেশি ফুটবলার ঢুকতে পারে এবং আমাদের দেশের মেয়েরা যদি সেখানে যেতে পারে সেটা খুবই ভালো হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ হলে ওরাও দেখতে পারত আমাদের ফুটবলের শক্তি এবং সামর্থ্যটা কোথায় আছে।’

টিটু উদাহরণ দিয়ে বললেন, ‘কোরিয়া, জাপানের পুরুষদের ফুটবল এভাবেই গড়ে উঠেছে। ওখানকার ফুটবলাররা ইংলিশ লিগে খেলেছে, বুন্দেস লিগায় খেলেছে। আমাদের সাবিনা-সানজিদারা ভারতের একেকটা রাজ্যে খেলবে। একেক জায়গায় একেক রকম পরিবেশ, আবহাওয়া, মাঠ—সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে ম্যাচ খেলতে পারাটা একটা অভিজ্ঞতা। ভ্রমণ করেই গিয়ে ম্যাচ খেলতে পারাটাও একটা অভিজ্ঞতা।

সানজিদা কলকাতায় গিয়ে পরদিনই ভিন্ন পরিবেশে ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। অন্যান্য ফুটবলারদের জন্য প্রেরণা। আমার কথা হচ্ছে—ওরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে সেটা ক্যাম্পের অন্যান্য ফুটবলাররা সেটা পাবেন। বাংলাদেশের ফুটবলেও কাজে আসবে। এভাবে অন্য ফুটবলাররা যদি বিভিন্ন দেশে গিয়ে ম্যাচ খেলতে পারেন তাহলে তারাও সেরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।’ সমস্যা কোথায় ? টিটু বললেন, ‘এখানে এজেন্ট দরকার। ধরুন একটা মেয়ে ফুটবলার, বিদেশে খেলতে চাইলে কার সঙ্গে কথা বলবে। এসব কাজের জন্য এজেন্ট থাকলে তারা দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে দেন।  আরেকটা হতে পারে কারো পরিচিতদের মাধ্যমেও যোগাযোগটা স্থাপন যায়।

যা-ই হোক সাবিনা-সানজিদারা  দেশের বাইরে খেলার দুয়ারটা খুলেছে। এই দুয়ারটা আরো বড় হতে পারে সামনে। এজন্য উদ্যোগ নিতে হবে যেন মেয়েরা বিদেশের মাঠে আরো বেশি বেশি ক্লাব লিগে খেলতে পারেন।’   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *