আসলে কে হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

Share Now..

পাকিস্তানের ১৬তম সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ৫টায় সম্পন্ন হয়। এরপরেই শুরু হয় ভোট গণনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল জানানোর কথা ছিল। কিন্তু ১২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর আজ সকাল থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। তবে এতেও অনেক ধীরগতি।

বাংলাদেশ সময় এখন সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাকিস্তানের জিও নিউজের প্রতিবেদনে যে ফলাফল দেখানো হয়েছে তাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৬৫ আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র পার্থীরা ৭৯টি আসন পেয়েছেন। এসব প্রার্থীরা বেশিরভাগই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থী।

এর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। দলটি এখন পর্যন্ত ৫৬টি আসন পেয়েছে। এছাড়া বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪৩টি আসন পেয়েছে।

জেলবন্দী ইমরান খান ইতিমধ্যে দাবি করেছে তার দল এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। এছাড়া তার দলের একাধিক প্রার্থীও একই দাবি করেছেন।

ভোটের আগেই বিবিসি, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও থিংকট্যাঙ্কের পূর্বাভাসে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এবারে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। এছাড়া বিশ্লেষকেরাও ধারণা করেছেন, ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। যদিও এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

দেশটিতে কোনো দলকে এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।

নির্বাচনের পরদিন এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়াটা অস্বাভাবিক না হলেও পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তার মাত্রা নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকরা।

ইউএস ইন্সটিটিউট অব পিসের তামান্না সালিকুদ্দিন বিবিসি নিউজডে’কে বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল একপ্রকার ‘হয়ে যাওয়া যুক্তি’। তার মতে, এই চুক্তি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার দল পিএমএল-এর বিজয়ের পথ অনেকটা পরিষ্কার করেছে।

তিনি আরও বলেছেন, খুব কম অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে এবং ইসিপি তথ্য প্রকাশ করছে না। আমার মনে হয়, এটা অস্বাভাবিক। যারা এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় বিস্ময়।

তামান্না সালিকুদ্দিন বলেন যে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে ফলাফল আসছে, তাতে কোনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া পাকিস্তানের ৭০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের পুরো মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি। এর পেছনে অন্যতম কারণ সেনাবাহিনী— এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।

তাই সেনাবাহিনীর মদদ ছাড়া দেশটিতে নতুন কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসা বা টিকে থাকার নজির হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলাই শ্রেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *