শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষেও জয়ের দেখা পেলো না মেসি

Share Now..

আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির ফুটবল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ। বার্সেলোনার ক্যাম্পে যাওয়ার আগে এখানেই শৈশবের পাঁচ বছর কাটিয়েছিলেন। এখন মেসি বিশ্বসেরা, ক্যারিয়ারও প্রায় শেষের দিকে। ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। আর সেই ক্লাবের হয়েই শৈশবের ক্লাবের মুখোমুখি হলো মেসি। যদিও ম্যাচটি শেষ হয়েছে সমতায়, তবুও মেসির কাছে ম্যাচটি ছিল খুবই স্পেশাল।

প্রাক-মৌসুমে বিশ্বভ্রমণে বেড়িয়ে সুখকর স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারেনি মায়ামি। তবুও ঘরের মাঠে তাদের সমর্থন কোনো অংশে কম ছিল না। স্টেডিয়াম ছিল পুরো ‘মেসিময়’। তবে এমন সমর্থনেও জয়ে ফিরতে পারেনি মেসিরা। গতকাল রাতে ঘরের মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামের নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করে ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই গোল শূন্য থাকলেও ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটের মাথায় মায়ামিকে এগিয়ে নিয়ে যায় শ্যানিডার বোর্গেলিন। এই ২২ বছর বয়সি ফুটবলারের গোলে এগিয়ে গেলেও ম্যাচের নির্ধারিত সাত মিনিট বাকি থাকতে নিউওয়েলসের হয়ে ইন্টার মায়ামির জালে বল জড়ান ফ্রাঙ্কো মার্টিন দিয়াজ। এরপর আর জালের দেখা খুঁজে পাননি কোনো দল। এছাড়া এই ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন মাঠে, শৈশবের ক্লাবটির বিপক্ষে খেলেছেন ৬০ মিনিট অবধি। 

সম্প্রতি সময়টা ভালো যাচ্ছে না মায়ামির। সর্বশেষ সাত ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচে জয়ের দেখা পায় মেসি-সুয়ারেজরা। ৪ ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে ২ ম্যাচ। যার মধ্যে আল নাসরের বিপক্ষে মায়ামি হেরেছে ৬-০ গোলে। তবে হংকং একাদশের বিপক্ষে যে ম্যাচ ইন্টার মায়ামি জিতেছে, সেই ম্যাচেই অনুপস্থিত ছিলেন মেসি। এ নিয়ে পরে অনেক সমালোচনা হয়েছে।

এদিকে নিজের শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে জয় না পেলেও মাঠে নামে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শেষে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে খেলার কয়েকটি মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘প্রাক-মৌসুমের আগে খুবই বিশেষ একটি ম্যাচ।’ 

এর আগে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে মাঠ মাতান তখনকার সাত বছর বয়সি মেসি। এরপর স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় পাড়ি যেন তিনি। এর পরের ইতিহাস সবারই জানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *