কালীগঞ্জে শিশু ইসরাফিল এখন মৃত্যুর পথযাত্রী সন্তানকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি

Share Now..

\ হুসাইন কবীর সুজন \
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভার অধীন বাকুলিয়া গ্রামের সহায় সম্বলহীন দিনমজুর মোঃ ইকরামুলের একমাত্র শিশুসন্তান ইসরাফিল হোসেন (৬) এখন মৃত্যু পথযাত্রী। তার হাটে দুইটি ছিদ্র ধরা পড়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। অথচ মাথা গোজার ঠাই নেই তার পিতা মোঃ ইকরামুল হোসেন ও মাতা মাজেদা বেগমের। তাদের সম্পদ বলতে আছে দো- চালা একটি বেড়ার ঘর। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা করাবেন কি দিয়ে। ইসরাফিলের মাতা মাজেদা বেগমের আকুতি সমাজ ও এলাকার বিত্তবানরা যদি আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে না আসে তাহলে অচিরেই তাদের অতি আদরের নিষ্পাপ সন্তান শিশু ইসরাফিল হয়তো এই সুন্দর পৃথিবী থেকে চিরজীবনের মতো ঝরে পড়বে। শিশু ইসরাফিলের জন্মদাতা পিতা হত দরিদ্র দিনমজুর মোঃ ইকরাম জানান সন্তানের চিকিৎসার জন্য গত এক বছরে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলেছে। একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে ভিটে মাটি বিক্রি করে প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করেছে। এমতাবস্থায় তার শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় সর্বশেষ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দেয় ইসরাফিলকে বাঁচাতে হলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল, সরোয়ার্দি হৃদরোগ হাসপাতাল,অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল (পিজি) অথবা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। কেননা ইতিমধ্যে শিশু ইসরাফিলের হার্টে দুইটি ছিদ্র ধরা পড়েছে বাল্ভ নষ্ট হওয়ার পথে এবং লিভারে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যত দ্রæত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে। এমতাবস্থায় এই শিশুর প্রাণ বাঁচাতে আল্লাহ তাআলার সাহায্য কামনা এবং সমাজের দানশীল ব্যক্তি বর্গের আর্থিক সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, দিনমজুর পিতা মোহাম্মদ ইকরাম হোসেনের আরো একটি পুত্র সন্তান ছিল কিন্তু ভাগ্য সহায়ক না হওয়ায় গত এক বছর আগে মিকাইল (৩) নামক শিশুটি পানিতে ডুবে মারা যায়।এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বর্তমান মৃত্যু পথ যাত্রী ইসরাফিলকে বাঁচাতে প্রবাসী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার গর্ভধারিনী মাতা মাজেদা বেগম ও পিতা মোঃ ইকরাম হোসেন।

849 thoughts on “কালীগঞ্জে শিশু ইসরাফিল এখন মৃত্যুর পথযাত্রী সন্তানকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *