ধূমপায়ীদের যেসব উপসর্গে বিপদ  

Share Now..

যারা ধূমপান করেন তাদের ফুসফুসে দূষিত পদার্থ জমে। ফুসফুসে জমা দূষিত পদার্থ পরবর্তী কালে শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সতর্ক হতে হবে যে কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে। যে সব অস্বস্তিকে সাধারণত অবহেলাই করা হয়ে থাকে, সে সব বিষয়েও হতে হবে সাবধান। 

প্রায় সর্দি-কাশি হওয়া কিন্তু স্বাভাবিক নয়। যদি কিছু দিন পর পর ঠাণ্ডা লেগে থাকে, তবে বুঝতে হবে ফুসফুসে কোনও সমস্যা আছে। অনেকের কাশি আবার দীর্ঘ দিন ধরে কমতে চায় না। এমন প্রবণতা দেখলে সাবধান হতে চেষ্টা করুন।

রোজ ঘুম থেকে উঠলেও কাঁধ-পিঠে ব্যথা হলে বুঝতে হবে, এ সাধারণ ক্লান্তি নয়। অনেক সময়েই শরীরের এক অংশে সমস্যা হলে একেবারে অন্য কোনও অঙ্গে অসুবিধা দেখা দেয়। এই ধরনের ব্যথাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘রেফার্ড পেন’।

অনেক সময় শ্বাস নিতে গেলে খুব কষ্ট হয়। এই সমস্যাও অবহেলা করার মতো নয়। বুঝতে হবে ফুসফুস জানান দিচ্ছে, ভেতরে কোনও সমস্যা আছে। ফুসফুসের আশপাশে প্রদাহ তৈরি হলে এমন অনেক সময়েই হতে পারে।

সর্বক্ষণ ক্লান্ত লাগলে যেমন উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমন অন্য অসুখও হতে পারে। ফুসফুস ঠিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। তা থেকেই ক্লান্তি আসতে পারে।

গলার আওয়াজ অন্য রকম হয়ে যায়। সর্দি-কাশি হলে এমন সমস্যা ঘটেই থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এমনই চলে, তবে সমস্যা গুরুতরও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বুকে কফ জমার প্রবণতা বেড়ে গিয়ে থাকলেও চিকিৎসকের পরার্মশ নিন। অল্প সর্দি-কাশি হওয়া এক রকম। কিন্তু এক বার বুকে কফ জমলে যদি তা আর না যেতে চায়, তবেও ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে কিছুটা সতর্ক হওয়া দরকার। কফের সঙ্গে রক্তপাত হলেও সাবধান হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *