বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ১

Share Now..

বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরাম রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের ঘটনায় সাহায্যকারী সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে আটক করা হয়। খবর এনডিটিভির।

ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি কর্ণাটকের রাজধানীর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় রেস্তোরাঁ প্রাঙ্গনে ব্যাগ নিয়ে হাঁটাহাঁটি  করছে। পুলিশের মতে, ওই ব্যক্তি এই ব্যাগটি রেস্তোরাঁয় রেখে বিস্ফোরণ ঘটার আগেই বের হয়ে যায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে অন্য একজনকে দেখা যায়। তাকে আটক করে বেঙ্গালুরু পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

প্রধান সন্দেহভাজন মুখোশ, চশমা এবং ক্যাপ দিয়ে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। ইডলির (খাবার বিশেষ) প্লেট হাতে দেখা যায় তাকে। রেস্তোরাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়ে এসব তথ্য।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। তদন্ত করতে জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) দল, বোম স্কোয়াড এবং ফরেনসিক ল্যাবরটেরি ঘটনাস্থলে যায়।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিধারমাইয়াহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘সাড়ে ১২টার দিকে বিস্ফোরণের একটি তথ্য আসে এবং বলা হয় সেখানে একটি ব্যাগ ছিল। আমি জানতে পারছি এটি একটি আইইডি ছিল। তদন্ত চলছে।’

এ ঘটনার পর সন্ত্রাস বিরোধী অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দক্ষিণ এমপি তেজাসভি সুরিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, ‘এইমাত্র রামেশ্বরাম ক্যাফের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নগরাজের সঙ্গে তার রেস্তোরাঁয় হওয়া বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ হয়েছে একজন কাস্টমারের রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে, কোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে নয়। তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। পরিষ্কার মনে হচ্ছে এটি একটি বোমা হামলা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্পষ্ট উত্তরা চায় বেঙ্গালুরু।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *