উদ্ধার হওয়া নবজাতকের পরিচয় মিলেছে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মেহগনি বাগান থেকে থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের পরিচয় মিলেছে। নবজাতকটি উপজেলার কাশিপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর।
গত রোববার (১১ জুলাই) উপজেলার শিবনগর এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে একদিনের কন্যা নবজাতক উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বিষয়টি তদন্তে নামে কালীগঞ্জ পুলিশ।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের তথ্য মতে , উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নয়ন হোসেন নামে এক যুবকের সাথে একই গ্রামের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর রুপ নেয় শারিরীক সম্পর্কে। আর এতে গর্ভবতী হয়ে যায় ঐ ছাত্রী। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গত রোববার (১১ জুলাই) দুপুরের দিকে কন্যা সন্তান প্রসব করে ঐ ছাত্রী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নাবজাতকটিকে উপজেলার শিবনগর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে মেয়ের খালা।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন স্কুল ছাত্রীর মা।
আর এ ঘটনায় নয়ন হোসেন (১৯) নামে এক যুবককে বুধবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। নয়ন হোসেন উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মজনু হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান মিয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, একই গ্রামের নয়ন হোসেন ও ৭ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির সাথে ছেলেটির শারিরীক সম্পর্ক হয়। এতে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ঐ স্কুল ছাত্রী।
গত রোববার সন্তান প্রসবের পর বাচ্চাটি একটি মেহগনি বাগানে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া পাঠায়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ নয়ন হোসেনকে আটক করেছে। ঐ স্কুল ছাত্রী সহ সকলের ডিএনএ ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ই জুলাই রোববার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর থেকে শিবনগর এলাকায় যাওয়ার সময়, রেহেনা খাতুন নামে এক নারী
পথিমধ্যে অনিল পালের মেহগনি বাগানের মধ্যে এক নবজাতকে নিয়ে আসে। এরপর নবজাতকটিকে তার কাছ থেকে উদ্ধার করে রিমা খাতুন নামের এক ব্যক্তির কাছে জিম্মায় রাখা হয়।