সীমান্তে সংঘর্ষ চলছে, আশ্রয়ের অপেক্ষায় শতাধিক মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাইনছড়ি সীমান্তে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এদিকে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সেক্টর-২ এর শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। তারা উপজেলার জামছড়ি সীমান্তে জড় হয়েছে বলে জানালেন সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। উপজেলার জামছড়ি, আশারতলী, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জামছড়ি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম জানান, রোববার-সোমবারের মধ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা সীমান্তের জিরো লাইনে আশ্রয় নিতে পারে। এর আগে গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত পাঠানো হবে—এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
Challenge yourself with our innovative online games! Lucky Cola