মহেশপুরে বিচার শালিশে নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে

Share Now..

\ মহেশপুর পৌর প্রতিনিধি \
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের যোগসাজসে বিবাদি পক্ষের বাড়ীতে বিচারকদের সামনেই বিচার শালিশে ফুলবানু বেগম (৬৫), সুফিয়া বেগম (৫৫) ও রিফাতকে (১৭) পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহত আবস্থায় ফুলবানু বেগম, সুফিয়া বেগম ও রিফাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের রুপদাহ গ্রামে। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিয়োগ দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী জানান, প্রতিবেশীদের সাথে আলমগীর হোসেনের ছেলে রিফাতের গোলোযোগ হয়। এ গোলোযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নজরুল ইসলাম মেম্বারের নির্দেশে বিবাদি পক্ষের দুদু মাঝি,মোজ্জাম্মেল হোসেনের বাড়ীতে এক শালিশ বৈঠক বসে। শালিশ বৈঠক চলাকালিন সময়ে রুপদাহ গ্রামের আলম মাঝি, মোজ্জাম্মেল হোসেন, দুদু মাঝি, শিশিরসহ কয়েক জনে ফুলবানু বেগম, সুফিয়া বেগম ও রিফাতকে পিটিয়ে আহত করে।
আহত ফুলবানু বেগম জানান, নজরুল ইসলাম মেম্বার ও মশিয়ার রহমানের নির্দেশেই বিচার শালিশ চলা অবস্থায় তারা আমাদেরকে পিটিয়ে আহত করে তারা পালিয়ে যায়। আলমগীর হোসেন জানান, আমার ছেলে রিফাতের সাথে প্রতিবেশীদের একটু ঝামেলা হয়। সে বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এক বিচার শালিশ বসে। কিন্তু বিচার শালিশ চলা অবস্থায় তারা আমার ছেলে রিফাতকে মারপিট শুরু করে। এসময় আমার ছেলেকে বাঁচাতে গেলে আমার মামী ফুলবানু বেগম ও ও আমার বিয়াইন সুফিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। বিচার শালিশের বিচারক সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বিচার শালিশ চলা অবস্থায় আলমগীর হোসেনের ছেলে রিফাত বিচার মানিনা বলে জানালে তখন মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে। অবশ্য পরেই আমরা শান্ত করেছি। বিচার শালিশে উপস্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান জানান বিচার শেষ পর্যায়ে আসার পর রিফাত বিচার এ বিচার মানিনা বলে জানালে হট্রোগোলের সৃষ্টি হয়। বিচার শালিশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াসীম, ইউপি সদস্য সোহেল হোসেন, রুপদাহ গ্রামের আওয়ামীলীগে নেতা মশিয়ার রহমান, উজ্জলপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মন্টু মেম্বারসহ কয়েক জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *