নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মিলেছে ১০ কেজি রূপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল দিলে মাছগুলো ধরা পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০ পরিবার ব্যবহার করে। এটি লিজ নিয়েছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সি প্যালেস রিসোর্টের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো ওপরে তুলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছর গুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।
পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘প্রায় ৪০ পরিবার ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে। প্রায় সাতদিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। পরে জাল ফেলানোর পর জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। জোয়ার আসলে পুকুরটিতে পানি ঢুকে যায়। আমি পানি ধরে রাখি তাই ইলিশ মাছগুলো জীবিত থাকে। এবছর ১০০ থেকে ১২০ কেজি ইলিশ পাবো বলে ধারণা করছি।’’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু আহমেদ জানান, ২০২২ সালেও নিঝুম দ্বীপের একটি পুকুরে ৩৫টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় এই পুকুরে ইলিশ মাছ এসেছে।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬-৭ কেজি ইলিশ মাছ, এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।’