৩০ সেকেন্ড মুখ দেখানো যাবে
সোনার পদক, রুপার পদক কিংবা ব্রোঞ্জ। যেটাই হোক না কেন, একটা পদক জয় করা সারা জীবন ইতিহাস হয়ে থাকবে। পদকজয়ীর এমন আনন্দঘন মুহূর্তে চেহারা দেখাতে পারছেন না ক্রীড়াবিদরা। বিষয়টি নজরে এসেছে আয়োজক এবং অলিম্পিক কমিটির। অনেক ভেবে-চিন্তে শেষ পর্যন্ত ৩০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়েছে মাস্ক খোলা যাবে। পোডিয়ামে উঠে পদক গলায় ছবি তুলতে পারবেন। পদকজয়ীরা মাস্ক পরে পোডিয়ামে উঠে হাসি ছড়িয়ে দিলেও সেটি মাস্কের ভেতরেই আটকে থাকত। বাইরের মানুষ দেখতে পারতেন না। সেই মাস্ক খুলে হাসি ছড়িয়ে দেবেন আর সেটি দেখবে দুনিয়া। তবে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।করোনার কারণে পদক বিতরণে কড়াকড়ি নিয়ম করা হয়েছে। এবার পদকজয়ীরা নিজের হাতে ট্রে হতে পদক তুলে গলায় পরে নিচ্ছেন। আগে এই পদক পরিয়ে দিতেন পৃথিবীর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। আর সেটি না হলেও বিশিষ্টজনেরা ট্রে হাতে পদক নিয়ে পোডিয়ামের সামনে দাঁড়াচ্ছেন। মাস্ক খুলতে পেরে দারুণ খুশি অলিম্পিক গেমস পদকজয়ীরাকরোনায় গেমসের ভেতরেই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে গেমস আয়োজন করছে জাপান। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলা চলছে তার পরও এরই মধ্যে শুধু গেমস সংশ্লিষ্ট শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ক্রীড়াবিদও আছেন। বিশ্ব সেরা স্প্যানিশ গলফার জন রাম করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন শেষ। এই গলফার দুই বার করোনা আক্রান্ত হলেন। গলফ শুরু হবে বুধবার। অন্যান্য যেসব ক্রীড়াবিদ, কোচ, কর্মকর্তা কিংবা সংশ্লিষ্টরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে গেমস ভিলজে হতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতো কিছুর মধ্যে জাপানিদের মধ্যে খুশির বার্তা হচ্ছে এই মুহূর্তে পদক তালিকায় শীর্ষে আছে জাপান। আট সোনার পদক নিয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর ওপরে রয়েছে।