ইউরোপীয় বর্জ্য যেভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যায়

Share Now..

ইউরোপীয় বর্জ্যের ব্যবসা খুবই লাভজনক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ। ব্যবসায়ীরা অবৈধ উপায়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইউরোপের বর্জ্য পাচার করেন। এতে পরিবেশ, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, একদল অসাধু ব্যবসায়ী বৈধ চ্যানেলের ফাঁকগুলোকে কাজে লাগিয়ে ইউরোপ থেকে বর্জ্য মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাচার করছেন।

সহজে মুনাফা করা যায় বলে এবং আইনের কড়া প্রয়োগ না থাকা বা ধরা পড়লেও খুব অল্প জরিমানায় ছাড় পেয়ে যাওয়ায় তারা এই ব্যবসায় ঝুঁকছেন বলে জানাচ্ছে প্রতিবেদনটি।

ইউরোপীয় কমিশনের হিসেবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রপ্তানি করা ১৫ থেকে ৩০ ভাগ বর্জ্য অবৈধ উপায়ে যাচ্ছে। এতে কয়েকশ’ কোটি ইউরো মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা।

জাতিসংঘ বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আশিয়ান দেশগুলো ১০ কোটি টন ধাতু, কাগজ ও প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করেছে। এর দাম পাঁচ হাজার কোটি ডলার।

২০১৮ সালে চীন বর্জ্য আমদানি রোধে উদ্যোগ নেয়। ফলে বর্জ্যের বড় বাজারটি সরে যায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দিকে। ইন্দোনেশিয়া সেক্ষেত্রে বিকল্প প্রধান গন্তব্য হিসেবে তৈরি হতে থাকে।

তবে অবৈধ এই ব্যবসা বন্ধ করা একেবারে অসম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইটালির ক্যাটোলিকা ডেল সাক্রো কুওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সেরেনা ফাভারিন বলেন, ‘সব দেশে একইরকমের আইনের প্রয়োগের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলো জোরালো করা দরকার। একই রকমের নিয়ম কানুন থাকলে যোগাযোগ করা যেতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *