বর্জ্যের নিচে পড়ে ছিল লাশের স্তুপ, আতঙ্কিত জাতিসংঘ

Share Now..

গাজার হাসপাতালে গণকবরের প্রতিবেদনে আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা চিকিৎসাসেবা ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত তিনি। খবর রয়টার্সের।

চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে গণকবরে মরদেহ খুঁজে পাওয়ার কথা জানায়। ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটি পরিত্যাগ করার পর এই কবরের সন্ধান পান তারা। ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর অভিযানের পর আল-শিফা হাসপাতালেও মরদেহের খবর পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, ‘আমরা সতর্কতা বাড়ানোর প্রয়োজনবোধ করছি। কেননা, স্পষ্টতই একাধিক মরদেহ পাওয়া গেছে।’

নিহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যে কয়েকজনের হাত বাঁধা ছিল। এটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এই ঘটনাগুলোর আরও তদন্ত করা দরকার।’

এসময় মুখপাত্র আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনটি সমর্থনে কাজ করছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসেরে ২৮৩টি এবং আল-শিফায় ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *