তীব্র তাপদাহের পর ঝিনাইদহে স্বস্তির বৃষ্টি
\ ঝিনাইদহ অফিস \
টানা কয়েকদিনের প্রচÐ তাপদাহের পর ঝিনাইদহে স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে। হালকা ঝড়ো বাতাসসহ নেমে আসে স্বস্থির বৃষ্টি। জেলাবাসীর ও কৃষকের মধ্যে ফিরে আসে স্বস্তি।
বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি দীর্ঘ সময় ধরে ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, মহেশপুর, কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডুসহ বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি চলছে। এ বৃষ্টি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। গত দুই দিন ধরে তাপমাত্রা কমলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি সবার মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।
তীব্র তাপদাহে ভ্যাপসা গরম, লোডশেডিং ও পানি সংকটে ভুগছিল জেলা বাসি। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকের সেচ কাজ ব্যহত হচ্ছিল। গভির নলকুপ কিংবা বাড়ির টিউবয়েলেও উঠছিলোনা পানি। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা মাটির ৫/১০ গভিরে বসিয়ে পানি উত্তোলন করতে হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে সাধারণ কৃষকের মাঝেও স্বস্থি ফিরেছে।
হলিধানী এলাকার কৃষক জিয়াউর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, মাঠে মরিচ, করলা ও কলা রয়েছে, যা তিব্রতাপদাহে বেশিরভাগ গাছ মারা গেছে। দীর্ঘদিন পর আজ বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক উপকার হবে। তবে আরো আগে বৃষ্টি হলে অনেক উপকার হতো।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ নবি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হয়েছে। তবে জেলাতে কি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এই মুহুতে বলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই বৃষ্টি সবজি চাষীদের জন্য খুবই উপকারে আসবে। বিশেষ করে, করলা, পটল, বেগুন, ভেন্ডি, পুঁইশাকসহ সবধরণের সবজির জন্য খুবই উপকারী। বৃষ্টি কিংবা পানির কারণে মে সবজি গুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছিলো না বা গাছ শুকিয়ে যাচ্ছিল সেই সবজি গুলো এখন সতেজ হয়ে উঠবে। তবে এখনো মাঠে ২০ভাগ ধান কাটাতে বাকি রয়েছে। আজ মে বৃষ্টি হয়েছে এমন বৃষ্টি হলে ধানের কোন সমস্যা হবে না। যদি এর থেকে ভারি বৃষ্টি কিংবা শিলা বৃষ্টি হয় সেই ক্ষেত্রে কৃষকের ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।