শুটিংয়ে অদিতিকে উপোস রাখেন সঞ্জয় লীলা!
দেশভাগের আগে লাহোরের প্রেক্ষাপটে তৈরি সঞ্জয় লীলা বানশালীর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’। সিরিজটি নিয়ে সমালোচকরা খুবই বিরক্ত। সিরিজে সেই বানশালী ম্যাজিক অনুপস্থিত বলেছেন অনেকেই। তবুও এত বড় একটি প্রজেক্ট নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দরি অভিনয় করেছেন মুখ্য চরিত্রে। অন্যান্য চরিত্রে একঝাঁক অভিনেতার দেখা মিলেছে ওয়েব সিরিজে। ১ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামন্ডি’। এই সিরিজের জন্য নাকি প্রায় সাত বছর ধরে গবেষণা করেছেন পরিচালক! এমনিতেই সকলেই জানেন যে, সঞ্জয় তার ছবি নিয়ে যতটা না খুঁতখুঁতে, তার চেয়ে অনেক বেশি তার নায়িকাদের নিয়ে সচেতন। কোনো ধরনের খামতি কিংবা গাফিলতি মোটেও পছন্দ নয় পরিচালকের। এবার ‘হীরামন্ডি’র শুটিং চলাকালীন অদিতিকে প্রায় উপোস করিয়ে রাখেন তিনি।
সঞ্জয় লীলা বানশালীর ছবি মানেই বিশাল সেট। ঝাড়লণ্ঠন থেকে দুর্দান্ত সব পোশাক, তেমনই তাক লাগানো গয়না। সে ‘দেবদাস’ হোক কিংবা ‘বাজিরাও মস্তানি’ কিংবা ‘পদ্মাবতী’ সঞ্জয় তার ছবির নায়িকাদের সাজপোশাক থেকে অভিব্যক্তি, সব কিছুর খেয়াল রাখেন। ফাঁকি দেওয়া মোটেই পছন্দ নয় তার। এক সাক্ষাত্কারে অদিতি বলেন, একদৃশ্যের শুটিংয়ের ব্যাপারে পরিচালকের নাকি কড়া নির্দেশ ছিল ‘আজকে তুমি কিচ্ছু খাবে না।’ রীতিমতো উপোস করার নির্দেশ দেন নির্মাতা বানশালী। নির্মাতার মনে হয়েছিল, ক্ষুধার্ত থাকলেই শুটিংয়ের সময়ে চোখেমুখে তার ছাপ থাকবে। ওই নির্দিষ্ট দৃশ্যে কাঙ্ক্ষিত নাটকীয়তা ফুটিয়ে তুলতে তার প্রয়োজন ছিল। যদিও সেই সময় অদিতি সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হয়ে সেটে ফিরেছেন। তার পরও পরিচালকের কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন তিনি। অবশ্য অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, পরিচালকের কথা মেনেই দৃশ্যে সেই ম্যাজিকটা আনতে পেরেছেন তিনি।
অদিতি বলেন, ‘বানশালী এমনই একজন নির্মাতা, যাকে আমরা সেটে সবাই অন্যরকম ভয় পেতাম। কাজের প্রতি এমন নিবিষ্ট পরিচালক খুব কম আছে।’