গাজার গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিল ইসরায়েলি বাহিনী

Share Now..

গাজা থেকে মিসরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রাতভর অভিযানের পর মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে ইসরায়েলের ৪০১তম আর্মড ব্রিগেড পূর্ব রাফাহ’র সালাহ-আ-দিন ক্রসিংটিকে রাস্তা থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। খবর রয়টার্সের।

রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, হামাসের সন্দেহভাজন অবস্থানগুলিকে লক্ষ্য করে স্থল সেনা এবং বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তাদের একটি ট্যাংক ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করছে। এলাকাটির দখল নেওয়া ওই ট্যাংক থেকে ইসরায়েলি পতাকা উড়তেও দেখা যায়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, রাতারাতি ট্যাংক ও বিমান হামলা চালিয়ে রাফাহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ও বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্তত চারটি বাড়িতে আঘাত হানলে কমপক্ষে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।

গাজা বর্ডার ক্রসিংয়ের এক মুখপাত্র হিশাম এদওয়ান বলেন, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হয়ে গেলে গাজা উপতক্যার বাসিন্দাদের মৃত্যু ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না। অবরুদ্ধ রাফাহ শহরে প্রবেশ ও মিসরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই ক্রসিং। এই ক্রসিং দিয়েই ত্রাণ সাহায্য পৌঁছায় গাজায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার ভেতরে ও বাইরের সব প্রবেশ পথের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। 

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সোমবার জানিয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, প্রস্তাবটি তাদের শর্তগুলো পূরণ করেনি। এরপরই নতুন করে রাফাহ শহরে অভিযান শুরু করে তারা। 

রাফাহ শহরে হামলা না চালাতে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের আহ্বান উপেক্ষা করেই, সেখানে অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। গাজা উপত্যকার অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। অবশ্য সোমবার রাফাহ শহরের কিছু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *