ইউক্রেনের সংসদে বিল পাস, কারাবন্দিরা যোগ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীতে

Share Now..

ইউক্রেনের পার্লামেন্ট এমন একটি বিল পাস করেছে যার ফলে কিছু বন্দি এখন থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। নামতে পারবেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও। বুধবার (৮ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টে নেওয়া বুধবারের এই পদক্ষেপটিকে কিয়েভের দীর্ঘদিনের নীতির ইউ-টার্ন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কোনো ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছিল এবং সেনা ঘাটতি পূরণের জন্য রুশ বন্দিদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর বিষয়ে মস্কোর সমালোচনাও করে আসছিল কিয়েভ।

অবশ্য পার্লামেন্টে পাসের পর বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে।

এদিকে জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। খসড়া আইনটি কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্য সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে যারা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’

তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এই সুযোগ শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।

শুলিয়াক বলেন, যৌন সহিংসতা, দুই বা ততোধিক লোককে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি এবং সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সামরিক বাহিনীতে সেবা করার যোগ্য নয় বলে বিবচিত হবে।

তিনি বলেন, যে সকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য। এছাড়া অন্য যে কোনও বন্দি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তারা সেটি পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষমার পরিবর্তে প্যারোল মঞ্জুর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *