এএফসির নতুন নিয়মের গ্যাঁড়াকলে বাংলাদেশের ক্লাব
গত মৌসুম পর্যন্ত এএফসি দুইটি ক্লাব কম্পিটিশন আয়োজন করত। প্রথমটা হচ্ছে ক্লাব র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা দলগুলোকে নিয়ে হতো এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ, আর নিচের সারির দলগুলোকে নিয়ে হতো এএফসি কাপ। গত মৌসুমের দুটি টুর্নামেন্ট থাকছে না। এখন নতুন আদলে, নতুন মোড়কে ২০২৪-২৫ মৌসুমে নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে এএফসি।
বাংলাদেশ থেকে ২টি ক্লাবের পরিবর্তে শুধু ১টি মাত্র ক্লাব খেলতে পারবে। সেটা হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দল প্রাথমিক রাউন্ডে খেলতে পারবে। প্রাথমিক পর্ব পার হতে পারলে গ্রুপ পর্বে খেলবে। নতুন আদলের টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে থাকছে না হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে নিয়মটি। গ্রুপ পর্বের খেলা হবে এক সঙ্গে একই ভেন্যুতে। সেটি বাংলাদেশে হতে পারে, অন্য কোনো দেশেও হতে পারে।
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে র্যাংকিংয়ের বিচারে তিন স্তরের টুর্নামেন্টের মধ্যে বাংলাদেশের ক্লাব রয়েছে সবার নিচে, তৃতীয় স্তরের টুর্নামেন্টে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ-টু এবং র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ক্লাব খেলবে প্রথম স্তরে, চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট টুর্নামেন্টে। এশিয়ার ক্লাব র্যাংকিংয়ের অবস্থান অনুসারে তিন স্তর ভাগ করেছে এএফসি। ক্রমানুসারে সবচেয়ে নিচে বাংলাদেশের ক্লাব। ভারত রয়েছে উপরে। তাই ভারতের দুটি ক্লাব খেলতে পারবে। তাদের র্যাংকিং ভালো। বাংলাদেশের ক্লাবের র্যাংকিং নিচের দিকে। আর সে কারণে এএফসির গ্যাঁড়াকলে পড়েছে।
আবাহনী একটা মৌসুমে এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে খেলেছিল। আবাহনী একটা বেটার পজিশনে খেলতে পেরেছিল বলেই র্যাংকিংয়ে প্রভাব পড়েছিল যার কারণে গত মৌসুমে বসুন্ধরা এএফসি কাপের পরিবর্তে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পেরেছিল কিংস।
এশিয়ার ফুটবল ক্লাব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের স্থান ২৭। নতুন আদলে টুর্নামেন্ট করতে গিয়ে এএফসি এশিয়াকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্যে একটা পূর্ব এশিয়া আরেকটি পশ্চিম এশিয়া। বাংলাদেশকে পশ্চিম এশিয়ায় রাখা হয়েছে। যেখানে রয়েছে ২৫টি দেশ। ২৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ক্লাব র্যাংকিং দাঁড়ায় ১৫। পশ্চিম জোনে ১৫ নম্বর র্যাংকিংয়ে থাকায় বাংলাদেশকে প্রাথমিক ম্যাচ খেলতে হবে। এটার কারণ খুব সহজ ক্লাব ফুটবলের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়া।
প্রাথমিক ক্যালেন্ডারে ৩টি তারিখ উল্লেখ রয়েছে, সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রিলিমিনারি ম্যাচের তারিখ হচ্ছে ৩০ জুলাই, ৬ আগস্ট, ১৩ আগস্ট ২০২৪। এই তিনটির যে কোনো তারিখে প্রাথমিক পর্বের খেলা হবে। ১টা ম্যাচ খেলবে নাকি একাধিক ম্যাচ খেলবে সেটি এখনো ঘোষণা করেনি এএফসি। তবে এই তারিখে খেলে গ্রুপ পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করতে হবে।
বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারি বলেছেন, ‘জুলাইয়ে প্রাথমিক পর্বের খেলা শুরু হয়ে যাবে। মধ্য আগস্ট পর্যন্ত চলবে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে গ্রুপ পর্বের ড্র হবে। গ্রুপের দলগুলোকে একটা ভেন্যুতে খেলতে হবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলতে হবে না। বাংলাদেশের ক্লাব ভারতের গিয়ে খেলত, মালদ্বীপে গিয়ে খেলত। এবার সেটা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্বে সিঙ্গেল ম্যাচ নাকি ডাবল ম্যাচ হবে এবং ভেন্যু কোথায় হবে সেটি জানানো হয়নি।