সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু মুক্তিযোদ্ধা নয়
\ স্টাফ রিপোর্টার \
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু মুক্তিযোদ্ধা নয়। তিনি ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ চলছিল সেসময় তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার চাচা মুজিবুর রহমান, ৯নং বারবাজার ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং তার আপন দুই চাচাতো ভাই ফজলুর রহমান ও আকতারুজ্জামান পল্টু তালিকাভুক্ত ও সরকারি বেতনভুক্ত রাজাকার ছিলেন। জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু ৩১/০৫/২০২৪ তারিখে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক রানার পত্রিকায় নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন। কালীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পক্ষে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদ লিপিতে স্বাক্ষর করেছেন-হেলাল উদ্দিন সরদার, সাবেক কমান্ডার, গেজেট নং-৬০৭। লিয়াকত আলী-গেজেট নং-৬৬০। ইসরাইল হোসেন, গেজেট নং-৮৬৪। এছাড়াও আরো কয়েকজন এই প্রতিবাদ লিপিতে স্বাক্ষর করেন। তারা জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু মুক্তিযোদ্ধা নয় মর্মে দৈনিক রানারে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান-দৈনিক রানানের সাথে কোন সাক্ষাৎকার দেননি। রানারে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তা ঐ সাংবাদিকের মনগড়া কথা। আগামীতে ঝিনাইদহ-৪ আসনে উপনির্বাচনে তিনি দলীয় মনোননয় পেতে আগ্রহী। সে কারণে একটি মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯০,২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।