ব্যাট হাতে সমালোচনার জবাব দিলেন সাকিব
চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট ও বল দুই বিভাগে নিষ্প্রাণ ছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচের পর ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিরেন্দ্র শেবাগ তো বলেই ফেললেন, সাকিবের উচিত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা।
তবে নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে যে ফিরে আসা যায়, সেটাই গেল পরশু রাতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে আরেকবার প্রমাণ করছেন টাইগার এই পোস্টার বয়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের বিপদের সময়ে ঠিকই নিজের চিরচেনা রূপে ফিরলেন সাকিব । খেলেন ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস। সেই সঙ্গে এই টাইগার অলরাউন্ডারের হাতে উঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ফলে মুখের কথায় নয়, বরং ব্যাট হাতেই সমালোচকদের জবাব দিলেন তিনি।
নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৯ ম্যাচ পরে অর্ধশতকের দেখা পান সাকিব। দিন হিসেবে যা ৬০৮ দিন। এর আগে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ হাফসেঞ্চুরির দেখা পান এই টাইগার অলরাউন্ডার। এছাড়াও এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবারও বিশ্বমঞ্চে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন তিনি।
নেদারল্যান্ডের ম্যাচ শেষের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাকিব। সেখানে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সবসময় আমার প্রতি অনেক দয়ালু। এমন পরিস্থিতি যখনই আসে, তখনই আল্লাহ ভালো কিছু দিয়ে দেন। ভালো কিছু করতে পেরেছি। গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের দুটো পয়েন্ট পাওয়া। যেটা আমরা পেয়েছি। কীভাবে জিতেছি, সেটা আমার কাছে তত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। বিশ্বকাপের মঞ্চে আপনি দুটি পয়েন্ট পেয়েছেন, ম্যাচটা জিতেছেন, আমার কাছে মনে হয় এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে বাজে শর্ট খেলে সাজঘরে ফেরার পর ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সাবেক ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার বিরেন্দ্র শেবাগ সাকিবকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, আপনার এখন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া উচিত। আপনার লজ্জার থাকা উচিত। গেল পরশু ম্যাচ শেষে শেবাগের সেই প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের কাজ দলের হয়ে কৃতিত্ব রাখা। সেটা যখন রাখতে পারবে না, স্বাভাবিকভাবে কথা হবে তখন। সেটা খুব বেশি খারাপ কিছুও না।’