অস্ট্রেলিয়ার হুমকি, নাকি বাংলাদেশের চমক?

Share Now..

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের খেলা শেষে এখন চলছে সেরা আটের লড়াই। এই পর্বে ওঠার আগেই কয়েকটি বড় দল বাড়ির পথ ধরেছে। এর একটি হলো ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। দলটি ব্যর্থতার চূড়ান্ত পর্বে আরোহণ করে নীরবে-নিভৃতে ঘরে ফিরেছে। কেউ আবার হোটেলের সামনেই অপদস্তের শিকার হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের মতো দলও বিদায় নিয়েছে। 

আবার প্রথমবারের মতো খেলতে আসা যুক্তরাষ্ট্র জাদু দেখিয়ে জায়গা করে নিয়েছে সেরা আটে। সেখানে রয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশও। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগার বাহিনী। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে সেরা আটে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের পরে এবার দ্বিতীয় বারের মতো সেই পর্বে পা রেখেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র হার দেখা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল দলটি। শেষ মুহূর্তে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে হার দেখতে হয়েছে। তবে ২২ গজে নাজমুল হোসেন শান্তরা যেভাবে লড়াই করেছেন, তাতে সেরা আটেও ভালো কিছুর হাতছানি দিচ্ছে। যদিও এই পর্বের শুরুটা হচ্ছে ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। সেজন্য প্রস্তুত বাংলাদেশও। ম্যাচটির আগে কঠোর অনুশীলন করেছে শান্ত বাহিনী। ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’ প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামবেন তারা। 

এই বিশ্বকাপ থেকে কিছু আশা করতে নিষেধ করলেও শান্তরা দেখিয়েছেন নতুন এক স্বপ্ন। এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কতটা সফল হতে পারেন তারা, সেদিকেই মুখিয়ে রয়েছে গোটা জাতি। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যেন হুমকি দিয়ে রেখেছেন অজি ব্যাটার টিম ডেভিড। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পেয়েও নিজেকে সেভাবে প্রকাশ করতে পারেননি এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। তবে শান্তদের বিপক্ষে সফল হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। সংবাদমাধ্যমে মজা করে ডেভিড বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামের ছাদের ওপর দিয়ে বল ওড়ানোর লক্ষ্য থাকবে। যদি পারি, তাহলে খুশি হব। আর যদি ছাদেই বল আটকে যায়, তাহলে সেটি হতাশার হবে।’ 

মিডল অর্ডারের এই ব্যাটার কথাগুলো মজা করে বললেও সেখানে বাংলাদেশকে দেওয়া চোখ রাঙানি স্পষ্ট ছিল। লাল-সবুজের জার্সিতে সবচেয়ে চমক দেখানো ক্রিকেটার এখন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনারকে নিয়েও হুমকি দিয়েছেন ডেভিড। তিনি বলেছেন, ‘আমরা হয়তো তার বিপক্ষে কখনো খেলিনি। তবে না খেললেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে চড়াও হওয়া।’

অস্ট্রেলিয়া প্রভাবশালী দল হলেও বাংলাদেশের রয়েছে ভালো করার মন্ত্র। ব্যাট হাতে কিছুটা ভোগান্তি থাকলেও বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব কিংবা তাসকিন আহমেদরা রয়েছেন দুর্দান্ত ছন্দে। অজিরা সে বিষয়েও হয়তো দেখেছেন। না দেখে উপায় কী! টাইগারদের সমীহ করতে হবে, চলতি বিশ্বকাপের ফর্ম সেটিই বলে। এবার মাঠের লড়াইয়ে তার কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারেন সাকিব আল হাসানরা, সেটিই দেখার বিষয়। ব্যাটারদের থেকে ভালো ফর্ম এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। সেটি হলে জমজমাট লড়াই দেখা যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগুয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *