ফিট থাকতে জগিং নাকি পেছন দিকে হাঁটবেন

Share Now..

ফিটনেস ধরে রাখার জন্য সবাই সাজেশান দেয় জগিং করতে। সকাল বা বিকেলের দিকে এক কি দেড় ঘণ্টা নিশ্চিন্তমনে পার্কে জগিং করার মধ্যে আনন্দ আলাদা। তবে একবারও কি ভেবে দেখেছেন পিছু ফিরে হাঁটার কথা? বিষম খাওয়ার মতো অবস্থা তাইতো? পেছন ফিরে হাঁটার মাধ্যমে ফিটনেস চর্চা করতে গিয়ে আবার হোঁচট খেয়ে বিপত্তি যেন না বাঁধে! পেছন ফিরে হাঁটার বিষয়টা জগিং এর মতো সহজ বিষয়কে ছাপিয়ে কেন বলছি? একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। 

কোমর ও পিঠের নিচের দিকে সুবিধা
পেছন ফিরে যদি হাঁটেন তাহলে কোমড় ও পিঠের নিচের দিকে ব্যথা থাকলে তা অনেকটা দূর হয়। পেছন ফিরে হাঁটা মানে পেশির বিপরীত সঞ্চালনা। তাই আপনার কোমড় ও পিঠে বাড়তি সুবিধা মেলে।

পরিশ্রম বেশি, ওজন ক্ষয়ে সুবিধা
পেছন ফিরে হাঁটা বেশ শক্ত কাজ। এজন্য ভালো পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রমের বিষয়টা মাথায় রেখেই আসলে এ ব্যায়াম করা ভালো। তাতে অন্তত আপনার ঘাম ঝরবে বেশি আর ওজনও কমবে। 

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে
সামনে হেঁটে আপনার অভ্যাস। উলটো  হাঁটলে আপনার মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই স্নায়ুতন্ত্রের ওপরও প্রভাব পড়ে। এভাবেই আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়। অনেকেরই এই বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবা জরুরি। 

জগিং নাকি পেছনে হাঁটা?
জগিং করলে হার্ট ভালো থাকে। আপনার ওজন কমে। আবার শরীরও ভালো থাকে। পেছনে হাঁটার সুবিধার কয়েকটি তো বলাই হলো। তবে অনেকে জগিং আগ্রহ নিয়ে ধরে রাখতে পারেন না। তারমানে এ নয় যে পেছনে হাঁটা তারা রপ্ত করতে পারবেন। বরং তার উলটো। পেছন ফিরে হাটা ঝুঁকিপূর্ণ। জনবহুল জায়গা বা এবড়োথেবড়ো স্থানে করতে গেলে দুর্ঘটনার ভয় থাকে। যাদের কোমড় ও পিঠে ব্যথা আছে তাদের জন্য এই ব্যায়ামটা ভালো। তাছাড়া বিপাকহারটাও বাড়ে। এই সুবিধার কথা বিবেচনা করে হলেও পেছনে হাঁটতে পারেন। আপনার যদি স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা থাকে তাহলে না করাও ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *