মার্টিনেজকে ‘বিশ্বসেরা’ আখ্যা দিলেন মেসি

Share Now..

সময়টা দুর্দান্ত কাটাচ্ছেন বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। তবে টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করেন লিওনেল মেসি। তখন হয়তো অনেকে ভেবেছিল কোয়ার্টার থেকে বাড়ি ফিরতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু আলবিসেলেস্তাদের গোলবারের নিচে যিনি আছেন, তিনি বলেছেন আমি এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চাই না। চীনের মহাপ্রাচীরের মতো রুখে দেন ইকুয়েডের নেওয়া প্রথম দুটি শট। তাতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন পাগলাটে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে প্রশংসায় ভাসান অনেকেই। বাদ যাননি লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। রদ্রিগো ডি পলতো বলেই দিলেন, ‘মার্টিনেজ পশু।’ ম্যাচ শেষে ইকুয়েডর ম্যাচের টাইব্রেকার শেষে দলীয় উদযাপনের একটি ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘আরও এক ধাপ। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমরা অনেক ভুগেছি। সেমিফাইনালে উঠার পেছনে যারা কঠোর পরিশ্রম করেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের দলে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আছে।’ 

মার্টিনেজকে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক বলার কারণও আছে। গেল কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা খরা কাটায় আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন এই মার্টিনেজই। এছাড়াও আলবিসেলেস্তারা সবশেষ চার টাইব্রেকারে একটিতেও হারেনি। প্রতিবারই প্রতিপক্ষের শট রুখে দিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

এছাড়াও ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি মার্টিনেজকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘পেনাল্টি শ্যুটআউটে দলের সবাই অন্ধভাবে গোলরক্ষকের ওপর বিশ্বাস করেছিল আর এটাই স্বাভাবিক। যদিও লিও (মেসি) মিস করেছিল, তারপরেও পুরো দল জানত, ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।’ মার্টিনেজকে নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমি গোলকিপিং কোচ নই। কিন্তু যখন তারা গোল সেভ করে, তারা বিপক্ষ দলের ওপর আধিপত্য দেখায়, খেলা থেকে ছিটকে দেয়। আর সে (এমি মার্টিনেজ) গোল বাঁচায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *