চুয়াডাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার দুই সন্তানের জননী \ গ্রেফতার-২

Share Now..

\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের মাঝপাড়ার এক দিনমজুরের স্ত্রী (জুলিয়া খাতুন) (২৪) দুই সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় লাল্টু মল্লিক (৩০) ও ইকরা হোসেন (৪৫) নামে এজাহার নামীয় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে জীবননগর থানা পুলিশ। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃত লাল্টু মল্লিক উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে ও ইকরা হোসেন একই এলাকার মৃত গোপালের ছেলে। রবিবার (১৪ জুলাই) ধর্ষিতা গৃহবধু নিজে বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন ২০২০ সালের (সংশোধনী) আইনের ৯ এর (ক) ধারায় জীবননগর থানায় একই গ্রামের চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৫। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবিদ হাসান ধর্ষিতার দায়েরকৃত মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, থানার কয়া গ্রামের মাঝ পাড়ার দুই সন্তানের জননী গত শনিবার (১৩ জুলাই) দিনগত রাতে অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এসময় একই গ্রামের চারজন আবুল কালামের ছেলে লাল্টু মল্লিক (৩০), নওশের আলীর ছেলে মোঃ খালিদ হোসেন (২২), মুসা আলীর ছেলে জব্বার হোসেন (১৮) ও মৃত গোপাল মন্ডলের ছেলে ইকরা হোসেন (৪৫) মিলে দুই সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গ্রামের পাশে ছুতার মাঠে চাঁন মিয়ার পেয়ারা বাগানে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ধর্ষণকারীরা ধর্ষিতাকে হত্যার হুমকি দিয়ে সাবধান করে দেয়, সে যেন ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলে। ধর্ষিতা ধর্ষণকারীদের কাছে থেকে ফিরে এসে ওই রাতে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে ধর্ষণের ঘটনা বললে গ্রামবাসীরা প্রথমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে। পরে ধর্ষিতা অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির আশায় রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত ৪ যুবকের নামে নিজে বাদী হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস, নাজিম উদ্দীন আল আজাদ (পিপিএম সেবা) জানান, বাদীর মামলা রজুর পর মামলার তদন্ত কাজ চলছে একই সাথে ভিক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া বাদীর ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতের প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হবে। এদিকে সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবী জানিয়েছেন পরিবার এবং স্হানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *