বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় ১ হাজার পুলিশ ও ১০০ ক্যামেরা

Share Now..

কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা নামে ভারতের একটি ধর্মীয় সংগঠন। শুধু কানপুর টেস্ট নয়, গোয়ালিয়রে টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হুমকি দিয়ে ম্যাচের দিন বনধের (হরতাল) ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। 

এমন অবস্থায় টাইগারদের বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে ভারত সরকার। টাইগারদের দেওয়া হচ্ছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কঠোর নিরাপত্তা দেখা গেছে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে। মাঠ জুড়ে ছিল পুলিশের ভীড়। মাঠ পরিদর্শন শেষে উত্তর প্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি রাজেশ শ্রীবাস্তব নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিন ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন—যেটি মাঠ, পিচ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি দুটি মাধ্যমে প্যাভিলিয়ন এ স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর্ডনই তিন-চারটি ভাগে বিভক্ত। কাজ করছে ১ হাজার পুলিশ, ক্যামেরা রয়েছে ১০০–এর মতো।’ নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘হুমকি নিয়ে অনেক ধরনের তথ্য আছে। এগুলো কিছু বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের নিজস্ব মানে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো ফাঁকি দিয়ে কিছু করা অসম্ভব। তাই বলতে পারি কোনো উদ্বেগ নেই।’

আগামী ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচের দিন বনধের ডাক আগেই দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। সংগঠনটির সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছেন, হিন্দু মহাসভা ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধের’ ডাক দিয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এই ‘বনধের’ আওতামুক্ত থাকবে। হিন্দু মহাসভার দাবি, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রতিবাদে তারা কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট ও গোয়ালিয়রে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হতে দিতে চায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *