ইরান-লেবাননের রাস্তায় জনতার উল্লাস
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরান ও লেবাননের মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকেই ইরান, লেবাবন ও হিজবুল্লাহর পতাকা ওড়ান, অনেকের হাতে ছিল হিজবুল্লাহর সদ্য প্রয়াত নেতা হাসান নাসরুল্লাহর ছবি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বুধবার তেহরানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের সামনেও অনেক মানুষকে উদযাপন করতে দেখা যায়। এর আগে গত এপ্রিলে ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছিল ইরান। সে সময়ও এখানে উদ্যাপনে মেতেছিলেন অনেকে। এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আতশবাজির ঝলকানি ও ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা যায়। হিজবুল্লাহর সদস্য, বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও ইরান-সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে উল্লাস করেন।
মঙ্গলবার রাতজুড়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০ টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়নি। এ হামলায় হতাহতের তথ্য জানায়নি ইসরায়েল। তবে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরান হামলা শুরু করার পর যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘ইরান অনেক বড় ভুল করেছে এবং এই ভুলের জন্য ইরানকে মূল্য দিতে হবে।’ ইরানে হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বলছে, ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।