যে যত বড়ই হোন না কেন মনে রাখবেন আইনের হাত তার থেকেও বড়- অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান

\ ঝিনাইদহ অফিস \
আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার উৎসব সবার, দুর্গাপূজায় পূঁজারীরা পূজা করবেন, রাজনৈতিক কর্মীরা আগামী কয়েকদিন ব্রিগেড তৈরী করে ভ্যানগার্ডের মতো যে কোন ধরনের অপশক্তি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবেন। গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে শৈলকুপা উপজেলার নিজ এলাকার বিভিন্ন পূঁজামন্ডপ পরিদর্শনের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অব্দি ঝিনাইদহের শৈলকুপার মধ্যপাড়া রামবাবুর মন্দির, নগরপাড়া মন্দির, কবিরপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দির সহ স্থানীয় কয়েকটি মন্দিরে গিয়ে পূঁজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র আমরা বহাল রাখতে চাই । আমরা চাই না দেশের পূঁজা উৎসবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হোক । যে যত বড়ই হোন না কেন মনে রাখবনে আইনের হাত তার থেকেও বড়। এ সময় শৈলকুপা পূঁজা উদযাপন পরিষদের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, পূজারী সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে, ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ্যাটর্নি জেনারেলকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইমরান জাকারিয়া ঢাকা পোস্টকে দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলাতে মোট ৪৩৫টি পূজা মন্ডবে শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডব রয়েছে ৫৯ টি। যার মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাতে ১০৩টি পূজা মন্ডবের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডব রয়েছে ৯টি, শৈলকুপাতে ১২৩টি মন্ডবের মধ্যে ২৪ টি, হরিণাকুন্ডুতে ২৭টি মন্ডবের মধ্যে ৩টি, কালীগঞ্জে ৯৯টি মন্ডবের মধ্যে ১৪টি, কোটচাঁদপুরে ৪১টি মন্ডবের মধ্যে ১টি, মহেশপুরে ৫২টি মন্ডবের মধ্যে ৮টি।
আরো জানান, এসব মন্ডবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেক মন্ডবে ৬জন করে আনসার সদস্য, দুই জন করে গ্রাম পুলিশসহ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের বিশেষ টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে।