কত টাকার মালিক ছিলেন বাবা সিদ্দিক

Share Now..

কোটি কোটি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি, ছিল স্বর্ণ ও হিরের শখ। শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি গোষ্ঠীর নেতা ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। এই খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী ও এক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। রোববার তাদের মুম্বাইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে পেশ করা হয়।

১৯৫৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিহারের গোপালগঞ্জে জন্ম সিদ্দিকের। পরে মহারাষ্ট্রে চলে আসেন তিনি। তার আসল নাম জিয়াউদ্দিন সিদ্দিক। তবে বাবা সিদ্দিক নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে, ১৯৭৭ সালে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন বাবা। খুব অল্প বয়সেই ছাত্র এবং যুব কংগ্রেসের অন্যতম মুখ হিসাবে জনপ্রিয়তা পান বাবা। বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে পড়ে যান। এর পর থেকেই তরতরিয়ে উত্থান বাবার। তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ‘প্রভাবশালী’ হিসাবে পরিচিত বাবা পরিচিত ছিলেন বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং তারকাখচিত পার্টির আয়োজন করার জন্যও। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী মোট ৭৬ কোটি টাকার মালিক ছিলেন বাবা সিদ্দিক। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এর থেকে অনেক বেশি।

২০১৮ সালে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাবার সঙ্গে যোগ থাকা ৪৬২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর মধ্যে ছিল মুম্বাইয়ের বুকে ৩৩টি অ্যাপার্টমেন্ট। তার বিরুদ্ধে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পে দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছিল।

বাবা সিদ্দিকর হলফনামায় নগদ অর্থ, ব্যাঙ্কে জমা টাকা এবং একাধিক সংস্থায় বিনিয়োগ-সহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। 

মার্সিডিজ বেনজের মতো বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি বিশেষ প্রেম ছিল। তার গ্যারাজে ছিল বিভিন্ন নামীদামী গাড়ির সম্ভার। এছাড়া সোনা এবং হিরের গয়নার প্রতিও আসক্ত ছিলেন তিনি। তার সংগ্রহে মোট ৩০ কোটির বহুমূল্য গয়না ছিল বলে অনুমান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *