স্মরণীয় ঘটনায় বরণীয় মানুষ
কণ্ঠশিল্পী আসমা দেবযানী। প্রায় তিন দশক যরে দুই শতাধিক বাংলা সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন। দীর্ঘ সংগীত জীবনের অভিজ্ঞতা ও স্মরণীয় ঘটনা নিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন শিশির রোয়েদাদ।
সংগীত জীবনের গল্প: বাবা ছিলেন সংগীতশিল্পী তার কাছেই হাতেখড়ি। ২০০’র অধিক সিনেমাতে গান করেছি। প্রায় ৬০টি জিঙ্গেল এ কণ্ঠ দিয়েছি। ৭টি অ্যালবাম করেছি যার মধ্যে ২টি একক ৫টি মিক্সড। বিভিন্ন সুরকার গীতিকারের সাথে কাজ করেছি। নাটকের জন্যও বেশ কিছু গান করেছি। বর্তমানে মৌলিক গান আর ফিঙ্গেলের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।
শিল্পী জীবনের স্বীকৃতি: স্বীকৃতি বলতে গেলে, পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘যোদ্ধা’ সিনেমায় ৫টি গান গাইবার জন্য, ফিল মুভমেন্ট থেকে সেরা সংগীতশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছি। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে ২০১৩ সালে গোল্ড মেডেল পেয়েছি। ২০২০ সালে সেবা পদক এবং ২০২১ সালে শুছাচার পুরস্কার পেয়েছি।
কাজের অভিজ্ঞতা এবং স্মরণীয় ঘটনা: ‘স্বপ্নের পুরুষ’ সিনেমাতে রুনা লায়লা ম্যাডামের ‘সাধের লাউ’ গানটিতে ডামি ভয়েস দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমার কণ্ঠই রেখে দেওয়া হয়েছে। এই সিনেমার গান শুনে পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকন তার ‘যোদ্ধা’ সিনেমাতে আমাকে পাঁচটি গান গাইবার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সাফল্যে গুরু মিল্টন খন্দকার আমার খুব প্রশংসা করেছিলেন। গুরুর সেই প্রশংসা আমার জীবনের একটি স্মরণীয় অধ্যায়। কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান, অহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, আনোয়ার জাহান নটু, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, ফরিদ আহমেদ, বাসুদের ঘোষ, শিহাব রিপন, অনিক ফয়সাল, সোহেল নিজামী, লোকমান হাকিম, শওকত আলী ইমনসহ আরো অনেক বরণীয় মানুষদের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে, যা আমার জীবনের স্মরণীয় অর্জন।
ডুয়েট গান: প্লেব্যাক কিং এন্ড্রু কিশোর, সৈয়দ আব্দুল হাদী, মনির খান, আসিফ আকবর, বাদশা বুলবুল, আগুন, পলাশ, ফজলুর রহমান বাবুসহ আরো অনেক গুণী শিল্পীদের সাথে গান করেছি।
ঠোঁট মিলানো অভিনেত্রী: শাবনূর, মৌসুমী, পূর্ণিমা, পপি, একা, শিমলা, রত্ন, তানজিকা, তুষ্টি, দিঘীসহ আরো অনেক অভিনেত্রী ঠোঁট মিলিয়েছেন আমার কন্ঠে।