শৈলকুপায় বাজারে কমছে না সবজির দাম, অসহায় ক্রেতারা

Share Now..

\ শৈলকুপা প্রতিনিধি \
ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও ক্রেতা পর্যায়ে নাগালে আসছে না দাম। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, একাধারে বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাই বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি আসেনি, যে কারণে দামও বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।
সরেজমিনে শৈলকুপার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, টমেটো ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পটল ৯০, মিষ্টি কুমড়া ৭০ (কেজি), পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩৮০ টাকা কেজি।
এ ছাড়াও শসা ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা কেজি, ফুলকপি ১২০ টাকা , বাঁধাকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম আকাশ ছোয়া। তবে এ বছর টানা বৃষ্টির কারণে সবজি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম বেশী ।
বাজার করতে আসা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক মহিবুর রহমান বলেন , বাজারে সবজীর দাম অনেক বেশী ,এই দাম কিছু মানুষের জন্য কিছুই না, আমাদের মতো মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য অনেক কিছু। ৫০০ টাকা বাজারে নিয়ে গেলে ব্যাগ অর্ধেকও ভরে না, অথচ গত বছরখানেক আগেও এমন ছিল না।
বাজার করতে আসা একজন আব্দুর রহিম নামে এক রিক্সাচালক বলেন, বাজারে সবজীর দাম এতো বেশী, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কেনার অবস্থা নেই। যে সবজিরই দাম জিজ্ঞেস করি, ৭০/৮০ টাকার নিচে কিছুই নেই। বাজারে এলেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। মাছ-মাংস কেনার অবস্থা নেই। ভর্তা-ভাত, সবজি খেয়ে থাকবো সেটাও অবস্থা নেই। আমরা গরীব মানুষ কতোটা বিপদে আছি বলে বোঝানোর ভাষা নেই।
সবজির দাম প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা গোলাম রসুল বলেন, শীতের সবজি বাজারে এলেও চাহিদা অনেক বেশি। দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে যা দেখে আমরাও অবাক। তার মানে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, বাজারে সার কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। তাছাড়া মজুরির দামও বেড়েছে। সবমিলিয়ে কৃষক পর্যায়েই এখন দামটা কিছুটা বেশি। সেটা যখন বিভিন্ন হাত ঘুরে আমাদের কাছে আসে, স্বাভাবিক ভাবেই দামটা বেশি হওয়ার কথা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, বাজারে সবজির দাম বেশী এটা সঠিক। একাধারে বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যার ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি মনে করি ১৫-২০ দিনের মধ্যে সমস্থ সবজির দাম কমে আসবে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *