চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটি-বোয়ালমারী মাঠ থেকে উদ্ধারকৃত মুন্নির হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার-২
\ হিজলগাড়ী প্রতিনিধি \
চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটি-বোয়ালমারী মাঠ থেকে উদ্ধারকৃত খালেদা আক্তার মুন্নি হত্যার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের একটি মাঠে ডিবি ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হাজরাহাটি শেখ পাড়ার টোকন আলীর ছেলে মানিক (২২) এবং একই এলাকার মহিদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মহসিন ওরফে স্বপন (১৯)। গ্রেফতারকৃতদের গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। টিকটকার মুন্নির সাথে শারীরিক সম্পর্কের পর চাহিদার তুলনায় টাকা কম দেয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনার পরপরই মানিক ও স্বপন মিলে মুন্নির গলায় তার পরনের ওড়না পেঁচিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করে। আটক মানিক ও স্বপনের কাছ থেকে মুন্নির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, স্বর্ণের আংটিসহ বেশকিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান। পুলিশ সুত্র থেকে জানা গেছে, মানিক ও স্বপনের সাথে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হয় খালেদা আক্তার মুন্নি। চুক্তি অনুযায়ী নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ সন্ধার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিটিআই মোড়ে অপেক্ষা করে মুন্নি। স্বপন মোটরসাইকেল যোগে মুন্নিকে নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের নিকটবর্তী বোয়ালমারি শ্মশানের মাঠে পানবরজের নিকট। সেখানে প্রথমে স্বপন ও পরে মানিক চুক্তি অনুযায়ী খালেদা আক্তার মুন্নির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে চুক্তির ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে মুন্নিকে দু’জন মিলে ৫ হাজার টাকা দেয়। এতে মুন্নি চিৎকার করতে থাকে। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে চিৎকার থামাতে মুন্নির ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে মানিক তার গলাই ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে দু’জনই পালিয়ে যায়। পুলিশ আরও জানায়, হত্যার পর মুন্নির ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন স্বপন নেয় এবং স্বর্ণের আংটিসহ অন্যান্য জিনিস নেয় মানিক। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে হাজরাহাটি গ্রামের একটি মাঠ থেকে মানিক ও স্বপনকে গ্রেফতার করে। মুন্নিকে হত্যার ঘটনা তারা শিকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকালই তাদের দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি ও বোয়ালমারি গ্রামের মাঝামাঝি স্থান থেকে খালেদা আক্তার মুন্নির অর্ধগলিত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে মরদেহের পরিচয় পাওয়া না গেলেও দুপুরে মরদেহের শরীরে আঁকা ট্যাটু-মাথার পাশে পড়ে থাকা পোশাক দেখে পরিচয় সনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা। পরিচয় শনাক্তের পর জানা যায় অর্ধগলিত লাশটি আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার মৃত খোয়াজ আলীর ছোট মেয়ে টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নির (২১)। মুন্নি ছিলেন স্বামী পরিত্যাক্তা। এ ঘটনায় মুন্নির মা বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গত শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের একটি মাঠে ডিবি ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মানিক ও পারভেজ মহসিন ওরফে স্বপনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার মানিক ও স্বপন হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
Thanks for sharing your thoughts on harga bongkar pasang ac 1 2 pk.
Regards
There’s certainly a lot to finmd oout about thus issue.
I like all of the points you’ve made.
The ultimate gaming experience is just a click away! Lucky Cola