ডিভোর্স নিয়ে মানহানিকর কনটেন্ট সরাতে এ আর রহমানের আইনি নোটিশ

Share Now..

২৯ বছর পর স্ত্রী সায়রার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমান। তারপর থেকেই নানা ধরনের গুঞ্জন উঠতে শুরু করে। এবার আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন গায়ক-সুরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নোটিশ জারি করেছেন। লিগ্যাল টিমের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তার সঙ্গে সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো সরিয়ে না নিলে ভারতীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মূলত দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন এ আর রহমান নিজেই। এরপর থেকে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। এই আগুনে যেন আরও ঘি পড়ে যায়, যখন তার বিচ্ছেদের ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার সহশিল্পী মোহিনী দে’র বিচ্ছেদের ঘোষণা! দুই বিচ্ছেদের জোর বেঁধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেতে উঠেছেন নেটিজেনরা।এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইস্যু করা নিজের লিগ্যাল টিমের পক্ষ থেকে তৈরি করা একটি নোটিশ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রহমান। কয়েক পাতার সেই নোটিশের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে- রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন, তারা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন। অন্যথায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে তাদের।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে বিয়ে হয়েছিল রহমান ও সায়রা বানুর। দেখাশোনা করেই বিয়ে, তারপর দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাদিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। গত বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আচমকাই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অস্কারজয়ী শিল্পী। এর কিছুক্ষণ পরই মোহিনী দে’র বিচ্ছেদ ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা রটনা রটে নেটপাড়ায়। এর আগেই রহমান-মোহিনীকে নিয়ে নানা বিব্রত ও আপত্তিকর মন্তব্যের জবাব দেন তার বড় মেয়ে রহিমা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার লেখেন, ‘সব সময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসা করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়া খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।’ বোনের সেই পোস্ট শেয়ার করেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খাতিজা রহমানও।

রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর বিচ্ছেদের সঙ্গে রহমান ও সায়রার বিচ্ছেদের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো। প্রত্যেকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠা-নামার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনই দুজনকে সম্মান করেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *