ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি: লেবাননের অর্থমন্ত্রী
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে আনুমানিক দেড় হাজার কোটি থেকে দুই হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম।
সম্প্রতি ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিন সালাম এই সংঘাতের মারাত্মক প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। এই যুদ্ধে ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলে। যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী, ইসরায়েল পর্যায়ক্রমে ব্লু লাইন ডি ফ্যাক্টো সীমান্তের দক্ষিণে তার বাহিনী প্রত্যাহার করবে। লেবাননের সেনাবাহিনী ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স তত্ত্বাবধান করবে। লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৩ হাজার ৯৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
আমিন সালাম ব্যাখ্যা করেন, ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তেজনা বৃদ্ধির আগে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। সে সময় মূলত পর্যটন ও কৃষি প্রভাবিত হয়েছিল। তবে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং পর্যটন খাত পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ায় তীব্র আক্রমণের ফলে প্রায় ৫ লাখ লেবানিজ তাদের চাকরি হারিয়েছেন।
পুনর্গঠন চ্যালেঞ্জ
দেশ পুনর্গঠনের বিষয়ে আমিন সালাম অবকাঠামো পুনর্গঠন ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা বেশিরভাগ লেবাননের জনগণের একত্রীকরণে কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করব এবং যদি আমরা বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার প্রতিফলন করি তবে আরব দেশগুলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, তুরস্কসহ সমস্ত দেশ খুব প্রস্তুত থাকবে। লেবাননের সমস্ত বন্ধু ও মিত্ররা লেবাননকে সমর্থন করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
২০২২ সালের অক্টোবরে মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে লেবাননে কোনো প্রেসিডেন্ট নেই। রাজনৈতিক মতবিরোধ উত্তরসূরি নির্বাচনে বাধা হয়ে রয়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক সমর্থন আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে আছে।