আমি কেন মাদককাণ্ডে ‘রিলের বঙ্গমাতার’ স্ক্রিনশট পোস্ট করছি না?

Share Now..

দেশের শোবিজ অঙ্গন নতুন এক বিতর্কের মুখোমুখি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে গ্রেপ্তারের সূত্র ধরে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী- তানজিন তিশা, মুমতাহিনা টয়া ও সাফা কবির। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী সুনিধি নায়েকের নামও, যিনি বাংলাদেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী সায়ান চৌধুরী অর্ণবের সাবেক স্ত্রী। তবে সম্প্রতি অর্ণবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কথা বিভিন্ন মিডিয়ায় শোনা যায়। মাদককাণ্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম মিডিয়াপাড়া।

একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গেছে, এই শিল্পীরা নাকি নিয়মিত মাদকের অর্ডার করতেন একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। যা জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া অরিন্দম রায় দীপের ফোন থেকে। অভিযোগ, এই তারকারা সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি, কুশসহ বেশ কিছু মাদক গ্রহণ করেন নিয়মিত। মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ঘিরে বিশেষ অনুসন্ধান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (নারকোটিক্স)। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একটু আগেই এক ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেই পোস্টে তিনি কারও নাম উল্লেখ না করলেও শোবিজের জনপ্রিয় এক তারকা দম্পতিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছে নেটিজেনরা। কারণ, তিনি তার পোস্টে এমন কিছু ক্লু দিয়েছেন যাতে সহজেই বোঝা যায় কাদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো লিখেছেন। সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘সবাই বলছে আমি কেন মাদককাণ্ডে ‘রিলের বঙ্গমাতার’ স্ক্রিনশট পোস্ট করছি না? করছি না কারণ, ওর হাজবেন্ডের মত আমাদের আজাইরা স্ক্রিনশট বেচার ব্যবসা নাই!’ ‘রিলের বঙ্গমাতা’ কথাটি দিয়েই সাবা মোটামুটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার কথাই বলেছেন। কারণ তিশা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিকে বঙ্গমাতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর স্বামী প্রখ্যাত নির্মাতা ও বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও তিশা-ফারুকীকে ইঙ্গিত করেই একাধিক মন্তব্য এসেছে। শাহাদাৎ রাসেল নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ডিসেম্বরের পরে সবাইকে দেখে নেবে হিজবুতি ফারুকীর বউ। সবাই সাবধান’। একই কথা এসেছে জনপ্রিয় তারকা মেহের আফরোজ শাওনের কমেন্টেও। তিনি লিখেছেন, ‘ডিসেম্বরের পর সবাইকে দেখে নিবে।’ এদিকে জানা গেছে, শোবিজের অনেকেই শুধু মাদক সেবন নয়, মাদক কারবারেও জড়িত। ফলে মাদকসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে- এমন আতঙ্কে ভুগছেন তাদের অনেকেই। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাকে হঠাৎ করেই সরিয়ে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা নানাভাবে তাদের প্রভাব খাটাচ্ছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তলবের জন্য ব্যবস্থা নেবেন তদন্ত কর্মকর্তা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *