ফ্রান্সে প্রভাব বিস্তার করছে ইসলামপন্থী আন্দোলন, লক্ষ্য ‘খিলাফত’

Share Now..

ইসলামপন্থী আন্দোলন ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’ ফ্রান্সে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এই আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে দেশটিকে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত খিলাফতের অংশ করা।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট ফর টেরিটোরিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান বার্ট্রান্ড চামোলাউড চলতি সপ্তাহে ফরাসি দৈনিক লে মঁদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড পরিচালিত মসজিদগুলোতে লাখেরও বেশি মুসল্লি উপস্থিত থাকেন। তারা সহিংসতার পরিবর্তে ‘খুব সাবলীল’ বক্তৃতার মাধ্যমে তাদের ধারণা ছড়িয়ে দেন।

বার্ট্রান্ড চামোলাউড বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না বলেও জানান। তিনি বলেন, এটি আমাদের উদ্বিগ্ন করে, কারণ তাদের প্রবেশ সমস্ত ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করছে। চামোলাদ বলেন, যখনই একটি মসজিদ বন্ধ করা হয় বা একজন ইমামকে বহিষ্কার করা হয়, তখন ইসলামপন্থীরা ‘ইসলামফোবিক রাষ্ট্র’ বলে এর নিন্দা করে।

তিনি উদাহরণ হিসেবে কালেক্টিভ এগেইনস্ট ইসলামোফোবিয়া ইন ফ্রান্স বা ‘ফ্রান্সে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে যৌথ’ নামক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন। এটি ২০০৩ সালে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

২০২০ সালে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আন্দোলনটি ‘ইসলামোফোবিয়া’ শব্দ ব্যবহারের কারণে ফ্রান্সে বারবার সমালোচিত হয়। তাদের সঙ্গে ‘ইসলামপন্থী যোগসাজশ’ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।

দ্য সোসাইটি অফ দ্য মুসলিম ব্রাদার্স, মুসলিম ব্রাদারহুড নামে বেশি পরিচিত। এটি একটি বহুজাতিক সুন্নি ইসলামপন্থী সংগঠন। ১৯২৮ সালে মিশরে একজন ইসলামিক পণ্ডিত এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি সমাজের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আইন প্রয়োগকে সমর্থন করে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিদেশি প্রভাব সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭০ লাখ মুসলমানের বসবাস ফ্রান্সে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। ক্যাথলিক ধর্মের পরে ইসলাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *