সিঙ্গাপুর-ব্যাংককের আদলে সাজানো হবে কক্সবাজারকে: প্রধানমন্ত্রী

Share Now..

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। সিঙ্গাপুর-ব্যাংককের আদলে সাজানো হবে কক্সবাজারকে। আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) গণভবন থেকে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে জলভাগের উপর দিয়ে রানওয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে। চলছে এক্সক্লুসিভ জোনসহ ইকোট্যুরিজম ও রেললাইনের কাজ। এসবের পূর্ণতার অন্যতম অনুষঙ্গ আন্তার্জাতিক বিমানবন্দর। স্থলের পাশাপাশি সমুদ্রের জলের উপর রানওয়ে সমেত অত্যাধুনিক বিমানবন্দরটি বাস্তবায়ন হলে দ্বিবারাত্রী ফ্লাইটে কক্সবাজার হবে ব্যস্ততম সিটি। আশা করি, নির্ধারিত

আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ভূমি উন্নয়ন, রানওয়ে বৃদ্ধিকরণ, রানওয়ে টার্নিংপ্যাড, শোল্ডার, ওভার রান, সার্ভিস রোড ইত্যাদি নির্মাণ, বাঁধের রক্ষা কাজ, ড্রেনেজ সিস্টেম নির্মাণ, এপ্রোচ লাইটিং সিস্টেম উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর ও নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন রয়েছে প্রকল্পের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নানা পরিকল্পনা করেছিলেন। ঝাউবন স্থাপন করেছেন। তার রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। সে পরিকল্পনারই অংশ কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রাসারণ। কক্সবাজারকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন হিসেবে গড়ে তুলতে আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা। আমরা ৯ম জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কক্সবা

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের পরের সরকার বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করত। যার কারণে কক্সবাজারকে ঘিরে তারা কিছুই করেনি। বরং তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেখান থেকে নতুন করে কক্সবাজারকে ঘিরে পরিকল্পনা হাতে নেই। আস্তে আস্তে সবই দৃশ্যমান হচ্ছে।

ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজার থেকে যুক্ত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নয় হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের বুকে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠা-নামা করতে পারবে। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক। এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের সারিতে নাম লিখালো কক্সবাজার বিমানবন্দর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *